ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ঈদে মিলাদুন্নবী ও সিরাতুন্নবীর মিছিলকে কেন্দ্রে করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মীর মিলন (৫০) নামের একজন নিহত ও কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মীর মিলন ছয়সূতি এলাকার একটি স-মিলের মালিক বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, জশনে জুলুসে সংঘর্ষ বাধলে মীর মিলন আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিক্যাল হাসপাতালে নিলে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মিলনের মারা যাওয়ার খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ছয়সূতি এলাকায় আহলে সুন্নাত আল-জামাত সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার প্রতাবনাথ বাজার থেকে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিল বের করে। একই সময়ে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ইমাম ওলামা পরিষদ ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড ‘সিরাতুন্নবী’ হিসেবে পরিচিত আরেকটি ধর্মীয় মিছিলের প্রস্তুতি নেয়। ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুসটি কুলিয়ারচরের ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যেতে চাইলে সংঘর্ষেও আশঙ্কায় স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসন থেকে নিষেধ করা হয়।
স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে আহলে সুন্নাত আল-জামাত ও ইমাম ওলামা পরিষদের সমর্থকদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে এক পর্যায়ে ব্যবসায়ী মিলন গুরুতর আহত হন। মিলনকে প্রথমে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর তার অবস্থা অবনতি হলে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিক্যাল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা ফাতেমাতুজ জোহরা কালের কণ্ঠকে বিকেল ৪টায় মুঠোফোনে সংঘর্ষের ঘটনায় মীর মিলন মিয়ার নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।