পাহাড় ধসে ৬ জনের মৃত্যু
সিলেটের সময় ডেস্ক :
কক্সবাজারে সদর ও উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে পাহাড় ধসে এক পরিবারের তিনজন ও উখিয়া উপজেলার ১৪ নম্বর হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিককুল গ্রাম এবং উখিয়ার ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন দক্ষিণ ডিককুলের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আঁখিমণি এবং দুই শিশু কন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ও লতিফা ইসলাম। ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই ২ ব্লকের কবির আহমেদের ছেলে আবদুর রহিম, আবদুল হাফেজ ও আবদুল ওয়াহেদ।
ডিককুলে পাহাড় ধসে নিহতের স্বজন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুল করিম সিকদার জানান, রাত ২টার দিকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সময় মিজানের বাড়ির দিক থেকে একটি পাহাড় ধসের বিকট শব্দ শুনতে পান তারা। পরে গিয়ে দেখেন মাটিচাপা পড়েছে মিজানের পরিবার। তাৎক্ষণিক মিজানকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। আজ ভোররাতের দিকে কক্সবাজার দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে স্ত্রী ও দুই শিশু মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, মিজানের বাড়িটি পাহাড়ের পাদদেশে। বৃহস্পতিবার বিকালে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে যায়। পরে মধ্যরাতে ওপর থেকে পাহাড় ধসে তার বাড়িতে পড়ে।
কক্সবাজার ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার সামশুদ্দৌজা নয়ন জানান, ভারী বর্ষণে উখিয়ার ১৪ নম্বর হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে তিনটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে এক পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীরা বিধ্বস্ত ঘরবাড়িতে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে বুধবার থেকে কক্সবাজারে মাঝারি থেকে কখনও কখনও ভারী বর্ষণ হচ্ছে। ভারী বর্ষণে বৃহস্পতিবার জেলা শহরসহ বেশ কিছু গ্রামে মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে অনেকের বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। এতে জনজীবনে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩৭৮ মিলিমিটার। চলমান মৌসুমে এটি এক দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।