সিলেটের আ.লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপিসহ ৮৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

সিলেট নগরীর দরগা গেইট ছাত্রজনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, এমপি ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নগরীর কাজিটুলা এলাকার মাহবুব হোসাইন। মামলায় ৮৬ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সবেক শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ ওরফে ইউনিক শামীম, আওয়ামী লীগ নেতা ড. আহমদ আল কবীর, জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান আহমদ, সিলেট চেম্বারের সভাপতি তামিম আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, নগরীর ৭০ বড়বাজারের কামরান আহমদ, মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিমাদ আহমদ রুবেল, সিসিকের ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত আমিন তৌহিদ আহমদ, নগরীর বড়বাজার রহমান টাওয়ারের স্বত্বাধিকারী ইউনুছ মিয়া, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সালেহ আহমদ লুলু, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি এজাজুল হক আহমদ, ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল আহমদ, ৭০ বড়বাজারের সুলেমান আহমদ, গোয়াইপাড়ার মাছুম আহমদ মাছুম, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নগরীর নাইওয়র পুলের আলী আশরাফ খান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আকিকুর রহমান চৌধুরী শিপু, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মুগনি, ১৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসীন চৌধুরী, সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমদ মিসবাহ, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ তোফায়েল আহমদ শেফুল, মহানগর যুবলীগের সদস্য ইলিয়াছুর রহমান জুয়েল, দর্শনদেউড়ির ইমদাদ হোসেন ইমু ও এম এ খান মাছুম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক সামসুল ইসলাম, উপশহরের বাসিন্দা একরাম হোসেন, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য জাকির হোসেন জুবেল, ইলেক্ট্রিক এলাকার আলমাছ আমহদ শুক্কুর, ৭০ বড়বাজারের শাকিব আহমদ, জালালাবাদ থানা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রাজন আহমদ, খাসদবিরের আলতাফ আহমদ, ১৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি সেবুল আহমদ, চারাদিঘীর পাড়ের রেহান খান, একই এলাকার আশফাক খান, গোয়াইনঘাটের রাতারগুল এলাকার গোলাম বাছিত রিমন, উলামালীগ নেতা উছমান গণি, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য জুমাদিন আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম লায়েক, কালিবাড়ির ইমরান ওরফে ইয়াবা ইমরান, জালালাবাদ নয়াবাজারের সাব্বির ওরফে টোকাই সাব্বির, শিবগঞ্জ সাদিপুরের মুশফিক জায়গিরদার (মহানগর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক), সুবানীঘাট এলাকার বিজিত চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হেকিম, দক্ষিণ সুরমার মিফতাউল ইসলাম, কুলাউড়ার বদরুল হোসেন চৌধুরী, গোয়াইনঘাট ইউপি যুবলীগ সদস্য মো. রফিক, গোয়াইনঘাট ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন, এয়ারপোর্ট হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা মো. আশরাফ হোসেন সাহেদ, আম্বরখানা বড়বাজারের ইমতিয়াজুর রহমান তারেক, কানাইঘাটের বানিগ্রামের যুবলীগ সদস্য বাবলু, এয়ারপোর্ট এলাকার মুজিবুর রহমান, সুনামগঞ্জ শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুজ্জামান রুহেল, কোতোয়ালি লোহারপাড়ার বাপ্পি, ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আলী আহমদ ইদন, মুন্সিপাড়ার মুন্না খান, কানাইঘাট দর্পনগরের বাসিন্দা ও নগরীর পুরানলেনের হারুনুর রশিদ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ নেতা দীপ্ত, জালালাবাদ হালদারপাড়ার জিয়াউর রহমান, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রকিব বাবলু, ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজমুল ইসলাম, ৩৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর, ৩২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহেল, খামিদপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আফছর আহমদ, ৫নং সিলাম ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ ওলিদুর রহমান, শাহপরাণ এলাকার যুবলীগ নেতা আব্দুস সামাদ, যুবলীগ নেতা শাহপরাণ এলাকার হান্নান, যুবলীগ নেতা অপু, আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহুল ইসলাম সুহেল, যুবলীগ নেতা আবির আহমদ সুমন, শাহপরাণ খাদিমপাড়ার ছাত্রলীগ নেতা সালমান আজহমদ, খাদিমপাড়ার মো. নজরুল ইসলাম, সৈদানীবাগের সৈয়দ সাব্বির, শাহপরাণ এলাকার বাসিন্দা যুবলীগ নেতা রাজু, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল খালিক লাভলু, ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য বেলাল আহমদ, একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান মতিসহ অজ্ঞাত ৪০০/৫০০ জন আসামি।

বাদি অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ১৯ জুলাই বেলা আড়াইটার দিকে ছাত্র জনতার আন্দোলনের ১ থেকে ৭ নং আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশনায় ওপর অভিযুক্তরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। তারা নিরস্ত্র ছাত্র জনতার ওপর দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। আন্দোলনরত ছাত্র জনতার ওপর গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও কতেক অজ্ঞাত পুলিশ অফিসার হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ২০০/৩০০ ছাত্রজনতার জনের ওপর তারা ঝাপিয়ে পড়ে। তখন উল্লেখিত আসামিদের কয়েকজন তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যাযজ্ঞ চালায়। উক্ত গুলি সোহেল আহমদের মাথায় ৩০টি ছররা গুলিবিদ্ধ হয়। তাৎক্ষনিক সোহেলসহ আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেওয়া হয়।

এ বিভাগের অন্যান্য