খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে আজ। রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খুলে দেওয়া হয় জলকপাটগুলো। এর ফলে ফলে পানি বাড়ছে কর্ণফুলী নদী ও উত্তর দক্ষিণাঞ্চলে।
এর আগে শনিবার রাত ১০টায় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের গেট খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও প্রত্যাশিত পানি না হওয়ায় পরে খোলা হয়নি।
আজ সকালে গেটগুলা খোলা হবে বলে আগেই জানিয়েছেন, কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের। শনিবার রাতে এ টি এম আব্দুজ্জাহের বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে কখন খোলা হবে তা গণমাধ্যমকে পরে জানানো হবে।
এর আগে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর বিপদসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় কাপ্তাই বাঁধের স্পিলওয়ে শনিবার রাত ১০টায় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শনিবার বিকেলে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৭ দশমিক ৬৬ এমএসএল (মীনস সী লেভেল) রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপদসীমার কাছাকাছি হওয়ায় হ্রদের উজান ও ভাটি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণে পানি নিষ্কাশনের জন্য শনিবার রাত ১০টায় স্পিলওয়ের ১৬টি গেটের ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু প্রত্যাশিত পানি না হওয়ায় রাতে গেট খোলা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে হ্রদের ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইনফ্লো বেশি হলে অর্থাৎ পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিলওয়ের গেটের খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের বলেন, হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৫টি ইউনিটের সবগুলো দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে ফলে প্রতি সেকেণ্ডে ৩২ হাজার কিউবিক ফিট পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে।
হ্রদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, কাপ্তাই হ্রদে পানি বর্তমানে বিপদসীমায় পৌঁছেছে।