সন্দেহভাজন ডাকাতদের অতর্কিত হামলা, পাকিস্তানে অন্তত ১১ পুলিশ সদস্য নিহত

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক ঃ

 

রকেট চালিত গ্রেনেডে সজ্জিত বন্দুকধারীরা পূর্ব পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে একটি পুলিশ কনভয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় অন্তত ১১ জন পুলিশ সদস্য নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রহিম ইয়ার খান জেলার কাছা শহরে এ হামলা হয়, তবে হামলায় দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি।

এই অঞ্চলের ডাকাতদের সন্ধানে নির্জন এলাকায় টহল দেওয়ার সময় পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত আক্রমণটি করা হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারীরা সম্ভবত ডাকাত, সশস্ত্র দলের সদস্য নয়। পাঞ্জাবের ইন্সপেক্টর জেনারেলের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দস্যুরা রকেট লঞ্চার দিয়ে গাড়িতে হামলা চালায়।’
 

পাকিস্তানের সিন্ধু নদীর তীর ডাকাতদের আস্তানার জন্য বেশ পরিচিত। পুলিশ বলেছে, তাদের একটি গাড়ি ক্ষেতে জমে থাকা বৃষ্টির পানির মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় বিকল হয়ে পড়ে।

এরপর বেশ কয়েকজন ডাকাত আক্রমণ শুরু করে। যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। 

বর্তমানে পাকিস্তানে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার সংখ্যা বেড়েছে। তবে একক হামলায় এত বেশি সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনা বিরল।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

নিরাপত্তা বাহিনী প্রায়ই দক্ষিণে পাঞ্জাব এবং সিন্ধু প্রদেশে দস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। এরা গ্রামীণ বনাঞ্চলে লুকিয়ে থাকে এবং কখনও কখনও মুক্তিপণের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য অপহরণ করে। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের হামলায় তারা বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছেন।

পাকিস্তানের সরকার দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি প্রদেশে কর্মরত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দমন করতে কয়েক দশক ধরে সংগ্রাম করে আসছে।

কিছু অপরাধী সংগঠন ও অন্যরা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়, যেমন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান। এরা পাকিস্তান তালেবান নামেও পরিচিত। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বন্দুকধারীরা পাঞ্জাবে একটি স্কুল ভ্যানে গুলি চালায়। সেই ঘটনায় দুই শিশু নিহত এবং ছয়জন আহত হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওই হামলার দায়ও কেউ স্বীকার করেনি। 

সূত্র : রয়টার্স

এ বিভাগের অন্যান্য