বাহুবল ও নবীগঞ্জে জামানত হারিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান খলিলসহ ১৮ প্রার্থী

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

হবিগঞ্জে দ্বিতীয় ধাপে বাহুবল ও নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২১ মে সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টায় দুই উপজেলায় গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ চলে। এতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয় । বাহুবল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান (ঘোড়া), বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোঃ ফিরোজ আলী মিয়া (মোটর সাইকেল) ও আক্তারুজ্জামান (আনারস)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৮ জন। এর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৫ জন। তারা হলেন, মোহাম্মদ আব্দুল মালেক মাদানী (উড়োজাহাজ), মোঃ শামীনুর রহমান (মাইক), মোঃ সোহেল আহমেদ (তালা), শশান্ত রঞ্জন দাশ (টিয়া পাখি) ও সিরাজুল ইসলাম (বই)। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ১ প্রার্থী। তিনি হলেন মোছাঃ নিছফা আক্তার (ফুটবল)।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী জানা যায়, বাহুবল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৭৪৬। নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের বেশি ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন (দোয়াত কলম)। তিনি পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬৮২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল হাই (টেলিফোন) পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৮৪ ভোট, এমপির ভাই রাজন চৌধুরী (কাপ-পিরিচ) পেয়েছেন ১২ হাজার ৭৯ ভোট ও মোঃ আব্দুল কাদির চৌধুরী (কৈ মাছ) পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৭৩ ভোট। তবে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের কম ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান (ঘোড়া)। তিনি পেয়েছেন মাত্র ২৬৯ ভোট, শেখ মোঃ ফিরোজ আলী মিয়া (মোটর সাইকেল)। তিনি পেয়েছেন ৪৭৩ ভোট ও আক্তারুজ্জামান নাসির। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৪ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৭৬৪। এর মধ্যে ৮ ভাগের বেশি ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন হাফেজ কামরুল ইসলাম (চশমা)। তিনি পেযেছেন ১৮ হাজার ৩৮৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ফারুক মিয়া (পালকি) পেয়েছেন ১১ হাজার ২৫ ভোট

ও মোঃ নবী হোসেন মোড়ল (টিউবওয়েল) পেয়েছেন ৮ হাজার ৭৭১ ভোট। তবে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের কম ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন মোহাম্মদ আব্দুল মালেক মাদানী (উড়োজাহাজ), তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ১৯৯ ভোট। মোঃ শামীনুর রহমান (মাইক)। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট, মোঃ সোহেল আহমেদ (তালা)। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৯১০ ভোট, শশাঙ্ক রঞ্জন দাশ (টিয়া পাখি)। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৫১৮ ভোট ও সিরাজুল ইসলাম (বই)। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯৩ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৭৫৯। এর মধ্যে ৮ ভাগের বেশি ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোছাঃ নাজমুন নাহার (রীতা) (কলস)। তিনি পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোছাঃ হাসিনা আক্তার শিফা (হাঁস) পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৫৬ ভোট, সালেহা বেগম চৌধুরী (পদ্মফুল) পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৫৫ ও মোছাঃ আলফা বেগম (বৈদ্যুতিক পাখা) পেয়েছেন ৮ হাজার ২০১ ভোট। তবে প্রদত্ত ভোটের কম ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন মোছাঃ নিছফা আক্তার (ফুটবল)। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৭৯ ভোট।

নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন ৮ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৯ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে জামানত হারিয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন, শেখ মোস্তফা কামাল (কাপ- পিরিচ), শাহ আবুল খায়ের (কৈ মাছ) ও বোরহান উদ্দিন চৌধুরী (আনারস)। ভাইস-চেয়ারম্যান পদে জামানত হারিয়েছেন ৬ জন। তারা হলেন, আলমগীর আহমেদ চৌধুরী সালমান (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মোহাম্মেদ অনর উদ্দিন (উড়োজাহাজ), রুবেল আল মামুন তালুকদার (টিউবওয়েল), আব্দুল আলীম ইয়াছিনী (টিয়া পাখি), মুরাদ আহমদ (চশমা) ও মোঃ হেলাল চৌধুরী (আইসক্রিম)। তবে ওই উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে কোন প্রার্থী জামানত হারাননি।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৭। এর মধ্যে ৮ ভাগের বেশি ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সদ্য বহিষ্কৃত উপজেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম- আহবায়ক মোঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী সেফু (চিংড়ি মাছ)। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ১৫৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান (ঘোড়া) পেয়েছেন ২১ হাজার ৭৫১ ভোট, আওয়ামিলীগ নেতা এডভোকেট সুলতান মাহমুদ (মোটর সাইকেল) ২০ হাজার ৫৬৩ ভোট, এ.কে.এম নূর উদ্দিন চৌধুরী (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৪২ ভোট ও মোঃ ইমদাদুর রহমান (মুকুল) (হেলিকপ্টার) পেয়েছেন ১৭ হাজার ৪৭ ভোট। তবে প্রদত্ত ভোটের চেয়ে কম ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন শাহ আবুল খায়ের (কৈ মাছ)। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৯৫০ ভোট, শেখ মোস্তাফা কামাল (কাপ-পিরিচ)। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৯০৫ ভোট ও বোরহান উদ্দিন চৌধুরী (আনারস)। তিনি পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৬ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ৬২৯ ভোট। এর মধ্যে ৮ ভাগের বেশি ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ সাইফুল জাহান চৌধুরী (তালা)। তিনি পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৭৬০। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী (বই)। তিনি পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৪১ ভোট ও গতি গোবিন্দ দাশ (মাইক)। তিনি পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮ ভোট। তবে প্রদত্ত ভোটের কম ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন আলমগীর আহমেদ চৌধুরী সালমান (বৈদ্যুতিক বাল্ব)। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৩৮১ ভোট, মোহাম্মেদ অনর উদ্দিন (উড়োজাহাজ)। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৬ ভোট, রুবেল আল মামুন তালুকদার

(টিউবওয়েল)। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৪০ ভোট, আব্দুল আলীম ইয়াছিনী (টিয়া পাখি)। তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৬০৯ ভোট। মুরাদ আহমদ (চশমা)। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ৮৮৩ ও মোঃ হেলাল চৌধুরী (আইসক্রিম)। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ২৬১ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৮২। এর মধ্যে ৮ ভাগের বেশি ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শেখ ছইফা রহমান (কাকলী) (ফুটবল)। তিনি পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৬১৫ ভোট। তার একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম পেয়েছেন ২৩ হাজার ৫৪৪ ভোট। ওই পদে কোন প্রার্থী জামানত হারাননি।

এ বিভাগের অন্যান্য