যৌন উত্তেজক ঔষধ খেয়ে প্রেমিকার সাথে মিলনের পর মৃত্যু, লাশ গুম

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার হাওর থেকে মাটিপুতা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া দলিল লেখক শাহ আমজাদ হোসেন নয়নের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হয়েছে। পুলিশ লাশ গোপন করে রাখার ঘটনার সাথে জড়িত ৪জনকে গ্রেফতার করেছে। পরে তারা শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহেলা পারভীনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।

হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান জানান, গত ১১ মে লাখাই উপজেলার জিরুন্ডা গ্রামের পার্শ্ববর্তী উজাদুর (পিলখানা) হাওড়ে জনৈক ইসলাম মিয়ার মালিকানাধীন ডোবার পশ্চিম উত্তর কোনায় মাটির নিচে পুতা অবস্থায় একটি অজ্ঞাতনামা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তীতে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে মামলাটি তদন্তকালে গত ১৪ মে বিকেলে মাফিয়া আক্তার তার আত্মীয় স্বজনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে থানায় এসে মৃতদেহের সাথে থাকা কাপড় চোপড় ও ছবি দেখে মৃত দেহটি তার স্বামী দলিল লেখক শাহ আমজাদ হোসেন নয়নের (৪৭) বলে সনাক্ত করে।

শাহ আমজাদ হোসেন নয়নের মোবাইলের কললিষ্ট ও স্থানীয় প্রাপ্ত তথ্যের সূত্রে পশ্চিম বুল্লা গ্রামের আব্দুল আওয়ালের মেয়ে রত্না আক্তার (২২), তার স্ত্রী মোছা. জোসনা বেগম (৪৭), ছেলে ফারুক মিয়া প্রকাশ হারুনকে (২৫) ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে এবং জিরুন্ডা গ্রামের ছোয়াব আলীর ছেলে ইকবালকে (৪০) ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাছিরনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও জানান, শাহ আমজাদ হোসেনের পকেটে ৪টি ভায়াগ্রার খোসা ছিল। চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন অতিরিক্ত ভায়াগ্রা সেবন করে যৌনঙ্গম করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে। আসামীরা ঘটনার দায় স্বীকার করে বলেছেন ১১ মে রাতের বেলা পরকিয়া প্রেমিকা রত্না বেগমের সাথে যৌন মিলনের পর অসুস্থ হয়ে তার বাড়ীতে সে মারা গেলে বাড়ীর লোকজন প্রথমে পুলিশকে জানানোর চিন্তা করলেও পরে বিপদ হতে পারে মনে করে ইকবালের বুদ্ধিতে তারা লাশটি হাওরে লুকিয়ে রাখে।

এ বিভাগের অন্যান্য