ছুটির সন্ধ্যায় মেট্রো রেলে উপচে পড়া ভিড়

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

ঈদে ছুটি শেষ। আজ রবিবার (১৪ এপ্রিল) সারাদেশে চলছে বর্ষবরণের আমেজ। সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও ছুটি চলছে পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে। ছুটির এই সন্ধ্যায় আজ মেট্রো রেলে উপচে পড়া ভিড় ছিল।

বৈশাখ উদযাপনে রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চারুকলাকে কেন্দ্র করে পাশের অঞ্চলে মানুষের আনাগোনা ছিল সবচেয়ে বেশি। তাই শাহবাগ মেট্রো স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে তৈরি হয় দীর্ঘ লাইন। সবগুলো টিকিট কাউন্টারের পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় টিকিট বিক্রির মেশিনেও ছিল টিকিট কাটার ধুম।

সরেজমিনে দেখা যায়, ছোট শিশু ও নারীরা ক্লান্ত হয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের পাশে মাটিতে বসে পড়েছেন।

গরমের সঙ্গে লম্বা টিকিটের সারি যাত্রীদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্টেশনে মেট্রো পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। টিকিট কাউন্টারে যাত্রীদের ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে তারা তৎপর ছিলেন। 

শাহবাগ থেকে পল্লবীর উদ্দেশে যাত্রা করেন রফিকুল ইসলাম।

তাই মেট্রো রেলকে তিনি বেছে নিয়েছেন দ্রুত যাওয়া জন্য। টিকিটের লাইনে দাঁড়ানো রফিকুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘ভাবছি আজকে বাসায় গিয়ে এমআরটি পাস করে ফেলব। আমার বাসা যেহেতু ওইদিকে। তাই মাঝেমধ্যে মেট্রোতে চলাচল করতে হতে পারে। আধা ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট নিলে সময়ের সুফল পাওয়া যাবে না।
তবুও গরমের মধ্যে একটু আরামের ভ্রমণ করার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিচ্ছে।’ 

এমআরটি পাসের জন্য এসেছিলেন মাহমুদ ইকবাল। কিন্তু স্টেশনের এমন পরিস্থিতি দেখে তিনি আগামীকাল সোমবার আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাহমুদ বলেন, ‘ভেবে ছিলাম আজকে ফাঁকা থাকবে। তাই পাসটা করে ফেলতে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখলাম এমআরপি পাস দেওয়ার কাউন্টারেও একক যাত্রা টিকিট দেওয়া হচ্ছে। মূলত যাত্রী চাপ সামাল দিতেই নাকি একক যাত্রার টিকিট সব জায়গা থেকে বিক্রি হচ্ছে। তাই আগের টিকিট নেব না।’

এদিকে স্টেশনের প্রবেশ মুখে মাইকিং করে বারবার পানির বোতল, সব ধরনের খাবার ও গ্যাস বেলুন নিয়ে মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হচ্ছে।

এ বিভাগের অন্যান্য