বাগেরহাটে দুইপক্ষের সংঘর্ষে আ. লীগ নেতা নিহত
সিলেটের সময় ডেস্ক :
দুইপক্ষের সংঘর্ষে বাগেরহাটের চিতলমারীতে মোজাফফর হোসেন খান (৬৬) নামে এক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কাননচক বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোজাফফর হোসেন খান কাননচক গ্রামের বাসিন্দা ও চিতলমারি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হিজলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতার মেয়ের সঙ্গে পরকিয়া রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কাননচক গ্রামের সজিব খান নামে এক যুবককে তুলে নিতে যান হিজলা এলাকার কাজী শাহেদসহ কয়েকজন। এ সময় কাননচক গ্রামের লোকজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজী শাহেদসহ তুলে নিতে আশা লোকজনকে বেধড়ক পেটান। পরে হিজলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবু শাহীন ও আওয়ামী লীগ নেতা লিটন কাজীর নেতৃত্বে দেড় থেকে দুইশ জন লোক কাননচক গ্রামে যান। তখন কলাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া শেখের নেতৃত্বে কাননচক এলাকার লোকজন এক হয়। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর খানকে টুংগীপাড়া হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর হোসেন খানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা হয়।
এদিকে খবর শুনে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া শেখ বলেন, ‘হিজলার লোকজন ঝামেলা করার জন্য ঢাল-শর্কি নিয়ে এসেছিল। পুলিশের সামনেই ঘটনা ঘটেছে।’
চিতলমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন বলেন, ‘নারী ঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন।’