সিলেটে ক্যারিক্যাব ও পিকআপের সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৫
সিলেটের সময় ডেস্ক :
সিলেট তামাবিল মহাসড়কের দরবস্তে ক্যারিক্যাব ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫ হয়েছেন। এসময় আরও ৭ জন আহত হন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটের সময় সিলেট তামাবিল মহাসড়কের সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সম্মুখে দরবস্ত হতে সিলেট অভিমুখে গরু বোঝাই পিকআপ (সিলেট মেট্রো-ন-১১-২২৬৪) এর সাথে উপজেলার চিকনাগুল হতে ছেড়ে আসা মোকামপুঞ্জিগামী ক্যারিক্যাব (সিলেট-ছ-১১-১২৫২) মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে৷ এই দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত, জৈন্তাপুর হাসপাতালে ১শিশু সহ উসমানী হাসপাতালে ২ জন নিহত হন। ১ শিশু বাচ্চাসহ ৭ জন গুরুতর আহত হন৷
নিহতরা হলেন-উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি গ্রামের সন্তোষ পাত্রের মেয়ে মঙ্গলী পাত্র (৫০), পুশ পাত্রের স্ত্রী সুচিতা পত্র (৩৫) পুশ পাত্রের ৫ মাসের শিশু নিহত হন, ২ জনের তাৎক্ষণিক পরিচয় পাওয়া যায়নি৷
আহতরা হলেন-সন্তোষ পাত্রের ছেলে পুশ পাত্র (৪০) পুশ পাত্রের ছেলে জিদান পাত্র (১৮), পুশ পাত্রের (৫ বৎসরের) শিশু মেয়ে ও গাড়ি চালক মিনহাজ সহ অন্যান্য আহতদের নাম যানা যায়নি৷
জানা যায় পুশ পাত্রের পুরো পরিবারের সদস্যরা পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চিকনাগুল হতে উপজেলার মোকামপুঞ্জি যাচ্ছিলেন৷ পথি মধ্যে সিলেট তামাবিল মহাসড়কের সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর সম্মুখে পৌছালে তারা দূর্ঘটনাটি ঘটে ৷
সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম সহ পুলিশ ফৌর্স, তামাবিল হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম,চিকনাগুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান চৌধুরী, যুবলীগ নেতা কুতুব উদ্দীন কয়সর আহমদ ও স্থানীয়রা পৌছে আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
দূর্ঘটনার পর হতে দুইটা পর্যন্ত সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে স্থানীয় জনতা৷পরে প্রশাসনের ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে স্থানীয় জনতা অবরোধ প্রত্যাহার করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
চিকনাগুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান চৌধুরী জানান আমার ইউনিয়নের লব পত্রের পরিবারের সকল সদস্য নিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয় এতে ৩ জন ঘটনা স্থলে মারা যান।বাকিরা হাসপাতালে আছে।