চুনারুঘাটে মাদক ব্যাবসা নিয়ে তর্কের জেরে যুবক খুন
সিলেটের সময় ডেস্ক :
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের চিমটিবিল সীমান্তে মাদক ব্যাবসা নিয়ে তর্কের জেরে বিষ্ণু মাল সনজু (৩০) খুন হয়েছে।
নিহত বিষ্ণু মাল আমু চা বাগান চিমটিবিল এলাকার বানেশ্বর মাল এর পুত্র। সে বিজিবি’র ক্যাম্পের ১শ গজের মধ্যে দোকানদারী করতো।
(২৪ ফেব্রুয়ারি) শনিবার নিহত বিষ্ণু মাল সনজুর লাশ সমাধি করা হয়।এ সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পলাশ ও চুনারুঘাট থানার সেকেন্ড অফিসার অজিত তালুকদার,এসআই লিটন রায় সহ স্থানীয় বাগান পঞ্চায়েত উপস্থিত ছিলেন।এ সময় শতশত চা শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং খুনিদের ফাঁসি দাবী জানান।
ঘটনার বিবরনে এলাকাবাসী জানান,সীমান্তের কুখ্যাত মাদক কারবারী ড্রাইভার রফিক ও সোর্স শিপন মাদক ব্যবসা করে আসছে, তাদের ধারনা নিহত দোকানদার বিষ্ণু মাল মাদক ধরিয়ে দেন।এই ঘটনা নিয়ে ক’দিন যাবত তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল।এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শিপন ও রফিক চন্ডিছড়া মাজারের পার্শে বিষ্ণু মাল কে হত্যার ষড়যন্ত্র করে।এ সময় আমতলি এলকার কয়েকজন মাদক গড ফাদার তাদের সাথে যোগ দেন।
বৃহস্পতিবার রাতে খুনি রফিক তার বায়না ভাই ও নোহা গাড়ীর মালিক আমির আলীর ঘরে খাওয়া দাওয়া করে চিমটিবিল নিহত বিষ্ণুর দোকানে আসেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি করে রফিক বিষ্ণু’র পেঠে চুরি দিয়ে আঘাত করে।এসময় বিষ্ণু মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন।এলাকাবাসী ও স্বজনরা তাকে প্রথমে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ও পরে সিলেট এমএজি উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় বিষ্ণু মাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।
পুলিশ লাসের ময়না তদন্ত শেষে লাশ বাড়িতে পাঠালে আমু চা বাগানের শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ করেন। তারা খুনি রফিক, শিপনসহ তাদের সহযোগীদের ফাঁসি দাবী করেন।নিহত বিষ্ণু মাল এর স্ত্রী বলেন,খুনের পর ড্রাইভার রফিক তার বায়রা ভাই ও তার গাড়ীর মালিক আমির আলীর বাড়ি সাওতারলাইন গ্রামে অবস্থান করেন।পুলিশ সেখানে অভিযান করলেও আমির বা তার বায়রা খুনি রফিক কে আটক করতে পারেনি।এ ঘটনায় চুনারুঘাটের আমু চা বাগানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায় বলেন,খুনি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।