মির্জা আব্বাস-এ্যানির জামিন আবেদন গ্রহণ ও নিষ্পত্তির নির্দেশ
নাশকতার ১০ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুযায়ী তা নিষ্পত্তি করতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম -সিএমএমকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দলটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির বিরুদ্ধে রাজধানীর নিউমার্কেট ও ধানমণ্ডি থানার দুই মামলার ক্ষেত্রেও একই আদেশ হয়েছে।
আজ রবিবার মির্জা আব্বাস ও এ্যানির রিটে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। বিএনপির এ দুই নেতার জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইন অনুসারে নিষ্পত্তির নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আদালতে মির্জা আব্বাস ও এ্যানির রিট আবেদনে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
গত বছর ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা, পল্টন ও ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১০ মামলা এবং নিউমার্কেট ও ধানমণ্ডি থানার এ্যানির বিরুদ্ধে দুইটি মামলা হয়।
গত বছর ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশে পুলিশের ওপর হামলা ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শাহজাহানপুর থানার মামলায় গত ৩১ অক্টোবর মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাঁর বিরুদ্ধে আরো ১০টি মামলা আছে। এসব মামলায় জামিন আবেদন করলে গত ১০ জানুয়ারি তা গ্রহণ করেননি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। এ অবস্থায় গত ১৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন মির্জা আব্বাস। রিটে জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে আইন অনুসারে নিষ্পত্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়।
এদিকে ধানমণ্ডি থানার এক মামলায় গত বছর ১১ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে সময় তাঁর বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুরে ২টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ছিল। পরে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নিউমার্কেট ও ধানমণ্ডি থানায় আরো দুইটি মামলা হয়। এ দুই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছিল না। এ অবস্থায় গত ১০ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতে জামিন আবেদন করা হলে জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ না করে তা ফিরিয়ে দেন আদালত।
আইনজীবী সগির হোসেন লিওন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মির্জা আব্বাস ও এ্যানির জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আইন অনুসারে নিষ্পত্তি করতে সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।’