হুইপ সামশুলের গাড়িবহরে হামলা
সিলেটের সময় ডেস্ক :
চট্টগ্রামের পটিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর গাড়িবহরে হামলা ও জুতা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে প্রার্থীর ভাই ফজলুল হক চৌধুরী ওরফে মহব্বত গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে ‘কান ধরে উঠ-বোস’ করানোর ঘটনা ঘটে।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পটিয়ার শান্তিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিক্ষুব্ধ লোকজনের তোপের মুখে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক সড়কে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন। এতে সড়কের দুপাশে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
উপস্থিত লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়িতে থাকা পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতা এমএ এজাজের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় এবং তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়ার দাবি জানায়।
তারা সামশুল হক চৌধুরীর গাড়ি লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাই ফজলুল হক চৌধুরী প্রকাশ মহব্বতের মাথায় জুতার আঘাত লাগে। গাড়ি থেকে নেমে পালানোর সময় মহব্বত চৌধুরীকে ‘কান ধরে উঠ-বোস’ করায় বিক্ষুব্ধরা।
সামশুলের ভাই মুজিবুল হক নবাবের অভিযোগ, চট্টগ্রাম-১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকরা এই হামলা চালায়।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা এলাকায় নির্বাচনি প্রচারে গেলে মোতাহেরুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় ১৫ জন আহত হয়েছেন।’
খবর পেয়ে কুসুমপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম হোছাইন রানাসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন এবং প্রার্থীকে নিরাপদে চলে যেতে সহযোগিতা করেন।
জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী শনিবার সকালে গাড়িবহর নিয়ে চট্টগ্রাম শহর থেকে পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নে গণসংযোগে রওনা হন। গাড়িবহর পটিয়ার শান্তিরহাটের জিরি মাদ্রাসা গেট এলাকায় পৌঁছলে সড়কের দু’পাশ থেকে নারী-পুরুষরা জুতা নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় সামশুল হক চৌধুরী সড়কে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সামশুল হক উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা এজাজের বাড়িতে যাচ্ছেন এমন খবর পেয়ে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্তরা সড়কে জড়ো হয়। তারা উত্তেজিত হয়ে জুতা নিক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটায়। গাড়িও ভাংচুর করা হয়।
কুসুমপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন রানা বলেন, ‘শনিবার সকালে শান্তিরহাটে নৌকার প্রার্থীর সমর্থনে মহিলা কর্মিসভা চলছিল। সভা চলাকালীন অদূরে মাদ্রাসা গেট এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সড়কে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে আমরা ছুটে যাই। পরে তাকে উদ্ধার করে নিরাপদে চলে যেতে সহযোগিতা করি।
‘এর আগে বির্তকিত নেতা এজাজকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়ার দাবিতে জুতা নিক্ষেপ করা হয় বলে শুনেছি। এ সময় পুলিশের সহযোগিতায় রাস্তা থেকে ব্যারিকেড তুলে নেয়ার পাশাপাশি উত্তেজিত জনতাতে নিবৃত্ত করি।’
পটিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীকে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছি। তবে আমরা গিয়ে কাউকে পাইনি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’