ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ১৫৮ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা, নিহত ৩১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ঃ
ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।গতকাল শুক্রবার চালানো এসব হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১৬০ জনেরও বেশি মানুষ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি, রয়টার্সসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ভোরে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, ওডেসা, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক, খারকিভ ও লাভিভে এসব হামলা চালায় রাশিয়া।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর দেওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, গতকাল দেশটির বিভিন্ন এলাকায় আকাশপথে ১৫৮টি হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে ১১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, এর আগে ইউক্রেনের এত বেশি সংখ্যক শহরে একযোগে হামলা চালায়নি রুশ বাহিনী।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভিযান শুরুর পর থেকে এই প্রথম রুশ বাহিনী এত বড় মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ। রাশিয়ার হামলায় হতাহতের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের প্রধান কৌঁসুলি আদ্রি কোস্তিন।
এদিন প্রথমে ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন দিয়ে রাশিয়া হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি। তিনি বলেন, এরপর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ৫৫টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, পাঁচটি অ্যারোব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও বেশ কয়েকটি রাডারবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে রাশিয়া।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ার অস্ত্রাগারে যত গোলাবারুদ-ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, তার প্রায় সবই উজাড় করে দিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে আমরা অধিকাংশই ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছি।’
জেলেনস্কি দাবি করেছেন, বেশির ভাগ মিসাইল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কিছু মিসাইল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এতে অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন অনেকে।