২৩ এর যেসব ঘটনা ২৪ এ সংকট তৈরি করতে পারে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ঃ

 

বিশ্বে চলতি বছর এমন কিছু ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে, যা আগামী বছর বড় ধরনের সংকটে পরিণত হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতার জেরে মাথা চাড়া দিতে পারে কর্তৃত্ববাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা। বৈশ্বিক ব্যবস্থায় আসতে পারে বড় ধরনের পরিবর্তন। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালের ঘটনাগুলোকে ২০২৪ সালের তুলনায় বরং যৌক্তিক ও সুস্থির মনে হতে পারে।

 

প্রথমত, স্বস্তির বিষয় হচ্ছে ইসরায়েল ও হামাসের সংঘাতের কারণে এখনো আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর তৎপরতা এখনো সীমিত রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ায় গোষ্ঠীটির অভিজ্ঞ যোদ্ধাদের মৃত্যু এবং ইরানি অর্থের জোগান কমে যাওয়ায় সম্ভবত ক্লান্ত হয়ে পড়েছে হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির নেতারা হয়তো ধারণা করেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়ালে লেবাননেও ব্যাপক বোমাবর্ষণ চলতে পারে, যা দেশটিতে সংগঠনটির জনপ্রিয়তা কমিয়ে দেবে।

অথবা বড় পরিসরে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানো হয়তো হিজবুল্লাহর প্রধান সমর্থক ইরানের নিজেরই স্বার্থের পরিপন্থী। 

এদিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারমাণবিক চুক্তি থেকেও সরে এসেছে ইরান। এখন উদ্বেগজনক গতিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে দেশটি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে—ইরানের পরমাণু বোমা কি এই অঞ্চলের পরবর্তী সংকটের কারণ হতে পারে? ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাব দিতে হিজবুল্লাহকে কি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে রাখা হয়েছে?

২০২৪ সালে প্রধান উদ্বেগজনক সিদ্ধান্তটি আসতে পারে ইসরায়েলের সর্বকালের সবচেয়ে ডানপন্থী সরকারের তরফ থেকে।

প্রশ্ন উঠেছে—মিত্রদের পরামর্শ এড়িয়ে হিজবুল্লাহর ওপর আক্রমণ করবে কি তেল আবিব? 

মধ্যপ্রাচ্য সংকট সত্ত্বেও ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনই এখনো বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংকট। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহায়তা কমিয়ে আনায় এরই মধ্যে ইউক্রেনীয় সেনাদের মনোবল অনেকটা ভেঙে গেছে। সম্মুখ সারিতে ক্ষয়ক্ষতির কারণে আরো পাঁচ লাখ সেনা সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে কিয়েভ। রাশিয়ার সেনাদের প্রাণ নিয়ে বেপরোয়া মনোভাব, ধৈর্য ও এককেন্দ্রিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ার সুবাদে এরই মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের পুনরুত্থান হয়েছে। তাই পশ্চিমাদের ক্লান্তির মধ্যে ইউক্রেনের উদ্ধার করা ভূমি পুনরায় দখলে নিতে সেখানে নৃশংসতা চালিয়ে যেতে পারে মস্কো।

এটা স্পষ্ট যে এই শীতে অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়বে ইউক্রেন। 

২০২৩ সালে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে খুব বড় বিপর্যয় না ঘটলেও এ বছর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন। তা ছিল ভাড়াটে যোদ্ধাদল ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের বিদ্রোহ।

সূত্র : সিএনএন

এ বিভাগের অন্যান্য