জরুরি বিবৃতিতে যে অভিযোগ করলেন রিজভী

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

ছাত্রদল, যুবদলসহ অন্য সংগঠনের নেতাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে পৈশাচিক অত্যাচারের মাধ্যমে তাদের শেখানো স্বীকারোক্তি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।দলটি বলছে, জনগণ বিশ্বাস করে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং জনগণের দৃষ্টিকে ঝাপসা করতেই সরকারের ইন্ধনে একের পর এক পরিকল্পিতভাবে নাশকতা ঘটিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গতকাল রবিবার রাতে এক জরুরি বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ইখতিয়ার কবির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা জামাল রিকু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মুকিত হোসেন মুকিতসহ যাদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদেরকে এখন পর্যন্ত আদালতে সোপর্দ কিংবা তাদের পরিবারের কাছে ফেরত না দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি এ বিবৃতি দেন।

রিজভী বলেন, নাশকতার নানা মিথ্যা অভিযোগের দায় স্বীকার করাতে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের ওপর নির্মম নির্যাতন করা হচ্ছে। ইখতিয়ার কবির ও মুকিত হোসেন মুকিত গুরুতর অসুস্থ বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হলেও তাদেরকে ফেরত না দেওয়া এবং আদালতে সোপর্দ না করার ঘটনা চরম অমানবিকতা ও গভীর উদ্বেগজনক।

তিনি বলেন, এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে এহেন নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড বারংবার সংঘটিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই ধরনের অত্যাচার ও নির্যাতন-নিপীড়ণ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর ঐতিহ্যগত রীতি। ছাত্রদল, যুবদলসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে এভাবে গুম করে রাখা এবং মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্মমতায় ভুক্তভোগীদের পরিবার ও দলের নেতাকর্মীরা গভীরভাবে আতঙ্কিত।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমান অবৈধ আওয়ামী সরকার একতরফা নির্বাচন করার জন্য বিরোধী দল ও ভিন্নমতকে দমনের অংশ হিসেবে এবং বিরোধী দলের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতাকর্মীদের ভয় পাইয়ে দিতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে এ ধরনের নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।

বিবৃতিতে রিজভী অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক ইখতিয়ার কবির, মোস্তফা জামাল রিকু ও মুকিত হোসেন মুকিতসহ তুলে নিয়ে যাওয়াদের সুস্থ অবস্থায় তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জোর আহ্বান জানান।

এ বিভাগের অন্যান্য