সিলেটে মিছিল থেকে ছাত্রদলের চার নেতাকর্মী আটক
সিলেটের সময় ডেস্ক :
বিএনপির ডাকা হরতালের সমর্থনে রাতে মশাল মিছিল থেকে ছাত্রদলের চার নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।এসময় ৬টি ককটেল সাদৃশ্য বস্তু ও মশাল মিছিলে ব্যবহৃত বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার(২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭ টার দিকে নগরের ঝর্নারপাড় কাজী জালাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে মশাল মিছিল থেকে তাদের আটক করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন-দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে ও সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বী আহসান(৩০), পাশ্ববর্তী টিকরপাড়া এলাকার মৃত শের আলী ছেলে ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সালেহ আহমেদ (২৮), সুনামগঞ্জের বীরগাও গ্রামের মৃত আঙ্গুর মিয়ার ছেলে ছাত্রদল কর্মী ওয়াহিদ আহমদ(১৯)।তিনি কোতোয়ালি থানাধীন সাপ্লাই মিনা ভবন শিপন মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া।এ শাহপরান থানার শিবগঞ্জ, সোনারপাড়ার সেলিম আহমদের ছেলে রেদুয়ান আহমদ রাব্বি (২৪)।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঝর্নারপাড় কাজী জালাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মশাল মিছিল বের করে বিএনপির অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহকারে রাস্তায় প্রতিবন্ধক তৈরী করে যানচলাচলে বাধা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছামাত্র মিছিলকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ও ককটেল সদৃশ্য বস্তু নিক্ষেপ করে বিষ্ফোরণ ঘটায়।
এসময় মিছিলকারীদের ছুড়া ইটপাটকেলের আঘাতে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী, মো.জুনেদ আহমদ ও কনস্টেবল মো.মহিবুর রহমান আহত হন। ওই সময় ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের গাড়ীও ক্ষতি সাধন করা হয়।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৯ রাউন্ড গুলি ছুড়ে এবং ধাওয়া করে চারজনকে আটক, ৬টি ককটেল সদৃশ্য বস্তু এবং ১২টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে পুলিশের তরফ থেকে মামলা দায়ের করা হবে, জানানো হয়।