সিলেটে ফিলিং স্টেশন বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। মারা যাওয়া দুজন হচ্ছেন তারেক আহমেদ (৩২) ও বাদল দাস (৪১)। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ জনে।

বাদল দাস সোমবার সকাল ৯টায় ও রোববার রাতে তারেক আহমেদ মারা যান।

রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে বন্ধের সময়ে ফিলিং স্টেশন খোলা রাখা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতির বিষয়টি এখনো যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা হয়নি।

তারেক আহমদ সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ও বাদল দাস সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাওয়ের অর্জুন দাসের ছেলে।

ইনস্টিটিউটে চিকিৎসকরা জানান, তারেক ও বাদল দাসের দুজনের শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। একই ঘটনায় দগ্ধ আরও পাঁচজন এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক ও ১২ সেপ্টেম্বর বিকালে টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিলেট মহানগরের মীরাবাজারের ‘বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে’ কম্প্রেশার কক্ষের একটি সেফটি বাল্ব বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৯ জন দগ্ধ হন। এদের মধ্যে সাতজন ওই স্টেশনের কর্মচারী ও দুইজন পথচারী।

অভিযোগ রয়েছে, পাম্প বন্ধের সময়েও খোলা ছিল বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশন। তখন কম্পেশার কক্ষের একটি সেফটি বাল্ব বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় কম্প্রেশার মেশিনসহ আশপাশের যন্ত্রপাতিতে আগুন ধরে যায়।

সিলেট ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার বেলাল আহমদ বলেন, ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিল। এ কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

তবে ফিলিং স্টেশনটির স্বত্বাধিকারী আফতাব আহমদ লিটনের দাবি, সন্ধ্যার পর গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল। সব কার্যক্রম শেষ করে সবাই পাম্প বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় কম্পেশার কক্ষের একটি বাল্ব চেক করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে।

এ বিভাগের অন্যান্য