পালক মেয়ে জেনে নির্যাতন, গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

সিলেটের সময় ডেস্ক :

 

লক্ষ্মীপুরে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শারমিন নামের ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানালেও পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে।

শারমিন সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা গ্রামের মোহাম্মদ উল্যাহ লিটনের স্ত্রী। এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়।

বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক।নিহতের ভাই রাকিব হোসেন রায়হান জানান, তারা পাঁচ ভাই। বোন না থাকায় শারমিনকে তার বাবা-মা পালক নেন।

তার জাতীয় পরিচয়পত্রেও তাদের বাবা-মায়ের নাম ও ঠিকানা আছে। শারমিন পালক মেয়ে, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিষয়টি জানতে পারে। এর পর থেকে তার ওপর নির্যাতন করত স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। 

রাকিব হোসেন রায়হান বলেন, বুধবার সকাল ৭টার দিকে বোনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ফার্নিচারের জন্য লিটন, তার মা বাসুরা বেগম ও বোন পারভিন আক্তার আমার বোনকে মারধর করেছে। ঘটনাটি জানতে পেরে লিটনের সঙ্গে কথা বললে আমাকে তিনি গালমন্দ করেন। এর কিছুক্ষণ পরই শুনি আমার বোন আর নেই। বোনকে মেরে ঝুলিয়ে রেখে তারা পালিয়ে গেছে। 

দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম কামাল উদ্দিন বলেন, বাবা-মায়ের আপন মেয়ে না হওয়ায় বিয়ের পর থেকেই শারমিনের ওপর স্বামী-শাশুড়ি ও ননদরা নির্যাতন চালিয়েছে বলে শুনেছি।

ইউপি সদস্যসহ আশপাশের লোকজনও তা জানিয়েছে। 

তিনি আরো জানান, শারমিনের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। তার এক পা খাটের বাইরে, অন্য পা খাটের ওপরে ছিল। দরজা আটকানো থাকলেও জানালার একটি কাচ ভাঙা ছিল।

দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, দরজা ভেঙে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য