বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া, ২১ আগস্টের ঘটনায় তারেক জড়িত: তথ্যমন্ত্রী

সিলেটের সময় ডেস্ক :

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। জাতির ইতিহাসে এত বেদনাবিধূর দিন আর কখনো আসেনি।’

আজ মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবসের সকালে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্ট ঘাতকের হাতে নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের সমাধিতে দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছিল তারেক রহমান এবং আজকে বিএনপি মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি করে। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জাতির ইতিহাসে এত বেদনাবিধূর দিন আর কখনো আসেনি।’

তিনি বলেন, ‘কারবালার প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসেনকে যখন জবাই করে হত্যা করা হয়, তখনো নারী এবং শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, ৪ বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, ৮ বছরের শিশু আরিফ সেরনিয়াবাত, ১২ বছরের শিশু বেবি সেরনিয়াবাত, অন্তঃসত্ত্বা আরজু মনিকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ নাসেরসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের কাউকে ঘাতকেরা রেহাই দেয়নি।’

‘আর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত, হত্যার মাধ্যমে তিনি ক্ষমতা দখল করেন এবং খুনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন’, যোগ করেন হাছান মাহমুদ।

দুঃখজনক হলেও সত্যি, বিএনপি এখনো সেই হত্যা-খুনের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি উল্লেখ করে হাছান বলেন, ‘তারা ঘৃণা এবং হিংসার রাজনীতি করে, ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করে, কেক কাটে। দেশে যদি সুস্থ রাজনীতির ধারা চালু রাখতে হয়, তাহলে বিএনপির এই অপরাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’

এ বিভাগের অন্যান্য