জাতিসংঘ মিলেনিয়াম ফেলোশিপ পেলেন শাবির ২১ শিক্ষার্থী
সিলেটের সময় ডেস্ক :
জাতিসংঘের একাডেমিক ইমপ্যাক্ট (ইউএনএআই) এবং মিলেনিয়াম ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক (এমসিএন) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শিক্ষা কার্যক্রম ‘মিলেনিয়াম ফেলোশিপ ২০২৩’ পেলেন প্রথমবারের মতো শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ২১ জন শিক্ষার্থী।রবিবার (১৩ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সমাজকর্ম বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আ ফ ম জাকারিয়া।
মিলেনিয়াম ফেলোশিপ প্রাপ্ত ২১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জনই হলেন সমাজকর্ম বিভাগের। তারা হলেন মো. মোফাজ্জল হক, নাজিফা নাওয়ার ঈসিকা, শেখ সাদনাতুজ জামান রীচি, রিদওয়ানুল হক সাদ, সুমাইয়া আক্তার রিফা, সিফাতুল কাফিয়া, মো. মুরাদ মিয়া, মো. মুজাহিদুল ইসলাম ইমন, মোহাম্মদ জুয়েল মাহমুদ, ঋতু সাহা, মোহাম্মদ আলী সুমন, তানজিনা জামান রচি ও রুবেল মিয়া।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তথা ৩ জন ফেলোশিপ পেল নৃবিজ্ঞান বিভাগ থেকে। তারা হলেন- চৌধুরী আনিকা ফারাহ, নাহিন নাজনীন ও আদিবা রহমান।
তৃতীয় সর্বোচ্চ তথা ২ জন ফেলোশিপ পেল রসায়ন বিভাগের। তারা হলেন- ফারিহা সানজিদা ও হাবিবুর রহমান।
নির্বাচিত বাকী ৩ জন হলেন, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের হাবিবুর রহমান মাসরুর, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের আহমদ মারজান ও পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শ্রেয়সী রায়।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন শিক্ষার্থীর কাজের সামাজিক প্রভাব এবং সমাজের কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং উৎসাহ তাদেরকে ২০২৩ সালের মিলেনিয়াম ফেলোশিপ ক্লাসের জন্য নির্বাচিত করেছে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা মিলেনিয়াম ফেলো হিসেবে কয়েকটি সামাজিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ প্রভাবক্ষম প্রোগ্রামে এবং জাতিসংঘের সূচক ১৭টি এসডিজি লক্ষ পূরণে প্রতিনিধিত্ব করবে।
উল্লেখ্য, মিলেনিয়াম ফেলোশিপ একটি দীর্ঘ নেতৃত্বমূলক প্রোগ্রাম যা সারা বিশ্ব থেকে নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে। এ একাডেমিক প্রোগ্রামটির লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ, পেশাগত যোগ্যতা এবং ক্যারিয়ারের পথ বিকাশে সহায়তা করা যেটি সামাজিক প্রভাবক্ষম কাজে সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয়। ২০২৩ সালে ৪৪ হাজারের ও বেশি আবেদনকারীর মধ্য থেকে প্রায় ৪ হাজার জন মনোনীত হয়েছে। ২০২৩-এর ক্লাসের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ছিল, যেখানে ১১৯টি দেশ জুড়ে ৩০০০ এর বেশি ক্যাম্পাস থেকে ৪৪ হাজারেরও বেশি আবেদনকারী ছিল। বিশ্বব্যাপী ২৯০টিরও বেশি ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৯ শতাংশ, এবং ৪০০০ এর বেশি মিলেনিয়াম ফেলোর জন্য নির্বাচিত হয়েছে।