সিলেটে ক্বীন ব্রিজের পাশে আরো দু’টি ব্রিজ হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সিলেটের সময় ডেস্ক :
আধুনিক সিলেটের রূপকার সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন,গণমানুষের সুবিধার জন্য সিলেটে ক্বীন ব্রিজের পাশে আরো দু’টি ব্রিজ হবে নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে এর পেপার ওয়ার্ক শুরু হয়েছে। ঐতিহাসিক ক্বীন ব্রিজ ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে থাকবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সিলেটের উন্নয়ন বিষয়ে নাগরিক সমাজের সঙ্গে সংলাপে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার যে উন্নয়ন হয়েছে সেটিও অসাধারণ। একসময় ঢাকা থেকে উত্তর প্রান্তের জেলাগুলোতে যেতে ৩ দিন লাগতো। এখন দিনে দিনে যাওয়া আসা যায়। কৃষি উৎপাদনেও বাংলাদেশ যে উন্নতি করেছে তা অভূতপূর্ব। বিশ্বে এটি বিরল। আমরা কৃষির প্রায় সবক্ষেত্রে এখন প্রথম দিকে অবস্থান করছি।
সিলেটের উন্নয়ন বিষয়ে ড. মোমেন বলেন, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল এ বছর। কিন্তু ডিজাইন ভুলের কারণে কাজ বন্ধ ছিল। সেটি শেষ হতে আরও ২ বছর লাগবে। এটি দুঃখজনক। অনেকগুলো রাস্তার কাজ নেওয়া হয়েছে। ছোটখাট রাস্তাঘাট সব করে ফেলেছি। আরও কিছু প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আখাউড়া সিলেট রেলের জন্য টাকা পাওয়া গেছে। কাজ আগামী বছরেই হবে।
সিলেটের জলাবদ্ধতা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৩৩৬ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ড্রেজিং হচ্ছে। এ বছর বিভিন্ন এলাকায় বন্যা হলেও সিলেট এবার বন্যা থেকে মুক্ত ছিল। এখনো শহরের যেসব এলাকা অবৈধ দখলে আছে, ২/১ টি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিয়ে সমস্যা আছে সেগুলোতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশের উন্নয়ন চায়। আমি খুবই ভাগ্যবান, প্রধানমন্ত্রীর কাছে যখনই কোনো উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে যাই, তিনি সাথে সাথেই অনুমোদন দেন। এই ধরনের আন্তরিক নেতা থাকার কারণে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। তিনিই দেশের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। দেশের ১ কোটি মানুষ সস্তায় চাল-ডাল পাচ্ছে। দেশে শান্তি আছে, কোন বোমাবাজি, সন্ত্রাস নেই। এর পুরো কৃতিত্ব শেখ হাসিনার। শেখ হাসিনা থাকায় সব শ্রেণির মানুষ খুশি। কারণ প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র লক্ষ্য জনগণের উন্নয়ন।
সিলেটের শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ অন্যান্য বিষয়ে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের জনসচেতনতা সৃষ্টির আহবান জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল আহসান। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল আহসান জানান, সিলেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোট ১০টি প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি ছিল। এর মাঝে ৮টিই এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ২টি প্রকল্পও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
নাগরিক সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন বিষয়ে তাদের প্রশ্ন ও মতামত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করেন এবং সিলেটের উন্নয়নে মন্ত্রীর অবদানের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন সেসব প্রশ্নের উত্তর দেন।
অনুষ্ঠানে সিলেটের ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।