হিরো আলমকে মারল, আর পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল : রব
সরকারের কোনো ‘নীলনকশা’ কোনো কাজে আসবে না। তাদের গণঅভ্যুত্থানেই হটানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। আজ মঙ্গলবার ‘এক দফা’ আন্দোলনের পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মঞ্চের নেতারা এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এ সময় জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, এই ভোটচোর, দুর্নীতিবাজ ফ্যাসিবাদী সরকারকে দেশের মানুষ আর বরদাশত করতে পারছে না।
দুপুরে ১২টায় রাজধানীর মিরপুর-১২ বাসস্ট্যান্ডে পদযাত্রা শুরুর আগে এই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে পদযাত্রা শুরু হয়। শেষ হয় মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে। সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রুপান্তরের ১ দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চ ঢাকায় এই পদযাত্রা হয়।
তিনি বলেন, যে সরকার একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর নিরাপত্তা দিতে পারে না তারা আবার বলে কি না সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। ওদের এক কথা যে মিথ্যা ও বানোয়াট এটা হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় প্রমাণ মেলে। এই সরকারের কোনো কথা বিদেশিরা বিশ্বাস করে না।
সমাবেশে মাহমুদুর রহমান মান্না আরো বলেন, গণআন্দোলনের চাপে এই সরকার এখন বেসামাল হয়ে গেছে। এরা এখন বিদায়ের দিন গুনছে। এই সরকারকে বিদায় দিয়ে আমরা ভ্যোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব, কল্যাণকামী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণমঞ্চের সমন্বয়কারী সাইফুল হক বলেন, বিরোধী দলহীন ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচনেও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরাজয় ঘটেছে। হিরো আলমের বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগ কারচুপি ও সন্ত্রাসের আশ্রয় নিতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের অধীনে জাতীয় নির্বাচন কেমন হবে গতকাল ঢাকার উপনির্বাচনেও তা প্রমাণ হয়েছে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকারের অধীনে যে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না তা ঢাকা-১৭ আসনে প্রমাণ হয়েছে। হিরো আলমকে তারা প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। এসবের মধ্য দিয়ে সরকারই নিজেদের রাজনৈতিক মৃত্যু ডেকে আনছে।
জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন।
পদযাত্রায় নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা দিদারুল ভূইয়া প্রমুখ নেতারা অংশ নেন।