পিতা-মাতার শিষ্টাচার বর্ণনায় কোরআনের অলৌকিকত্ব
সিলেটের সময় ডেস্ক :
জনৈক ডক্টর বলেন, আমাকে একদিন এক শায়খ জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি আরবি ভাষায় ডক্টরেট করেছেন? আমি বললাম, হ্যাঁ শায়খ। তিনি বললেন, ভালো। তাহলে আপনাকে একটি প্রশ্ন করি? আরবি ভাষায় সবচেয়ে কোমল অক্ষর কোনটি? প্রশ্নটি সত্যিই আমাকে অবাক করল। কিন্তু এমন নয় যে আমি সচরাচর প্রশ্নের উত্তর দিই না। আমি বললাম, হয়তো হামসের (উচ্চারণ হিসেবে আরবি বর্ণের এক শ্রেণি) কোনো অক্ষর যেমন ‘সিন’ অথবা মদ্দের কোনো অক্ষর হবে। কেননা এগুলো উচ্চারণ করতে মুখের খালি জায়গা থেকে শুধু বাতাস বের হয়।
তিনি শিক্ষকের মতো মুচকি হেসে বললেন, হে ডক্টর, আপনি ভুল করেছেন। আমি তাঁকে শিক্ষার্থীর মতো বললাম, এটি না হলে সেটি কোন হরফ হে শায়খ? আমি আপনার কাছ থেকে শিখতে এবং উপকৃত হতে চাই। তিনি বললেন, আরবি ভাষায় সবচেয়ে কোমল হরফ হলো ‘ফা’। এ জন্য আল্লাহ তাআলা মাতা-পিতার অবাধ্য হতে নিষেধ করেছেন এই অক্ষরের মাধ্যমে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ফালা তাকুল লাহুমা উফফিন’ অর্থাৎ তোমরা তাদের উফ শব্দও বোলো না। (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ২৩)
আমি তখন বিভিন্ন সূত্র অনুসন্ধান করে পেলাম, আরবি বর্ণমালায় কিছু কোমল ও রূঢ় অক্ষর আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে রূঢ় হরফ হলো ‘ত্ব’। কেননা এর মধ্যে কোনো কোমলতার গুণ যেমন হামস, রিখাওয়া, লিন ইত্যাদি পাওয়া যায় না। আর সবচেয়ে কোমল অক্ষর হলো ফা। কেননা এর মধ্যে রূঢ়তার গুণ যেমন জেহের, শিদ্দাত, ইতবাক ইত্যাদি পাওয়া যায় না।
কোরআনের মুজিজা হলো মাতা-পিতাকে কষ্টকর কথা বলা থেকে নিষেধ করার ক্ষেত্রে আরবি বর্ণমালার সবচেয়ে কোমল হরফ ব্যবহার করা হয়েছে। যা দ্বারা মনের দুঃখ-কষ্ট বোঝানো হয়। সুতরাং আল্লাহ তাআলা মাতা-পিতাকে কষ্টের জন্য সবচেয়ে কোমল অক্ষর বলা থেকে নিষেধ করেছেন। তাহলে রূঢ় ও অতিরূঢ় কথা বললে কী অবস্থা হবে?