মিস্টার অ্যান্ড মিস সেলিব্রিটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মূলপর্বে বাংলাদেশের দুই মডেল
সিলেটের সময় ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা মিস্টার অ্যান্ড মিস সেলিব্রিটি ইন্টারন্যাশনাল ২০২৩-এ মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশের দুই মডেল এফা তাবাসসুম ও রনি ইমরান। দেশের শীর্ষ মডেল ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদের ট্যালেন্ট ক্যাম্প (এএমটিসি) হয়েছে বাংলাদেশসহ চার দেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর।
মালয়েশিয়ার পর্যটন শিল্পের প্রচারণার অংশ হিসেবে আয়োজিত হচ্ছে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিস সেলিব্রিটি ইন্টারন্যাশনাল ২০২৩’। এ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্বে আছে ইন্টারন্যাশনাল সেলিব্রিটি প্যাজেন্টস গ্রুপ এন্টারপ্রাইজ।
এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশসহ ২৯ দেশের ৬০ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। এশিয়ার বাইরের একমাত্র দেশ হলো হল্যান্ড। আর সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও আছে ভারত ও নেপাল। এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সূচি বদলে ১ মে অনুষ্ঠিত হবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে।
গত ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশের ফ্যাশন অঙ্গনে সুপরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ আজরা মাহমুদ; যার উত্থান ইউ গট দ্য লুক দিয়ে।
বাংলাদেশ ফ্যাশন উইক ছাড়াও সেরা সব শীর্ষ সারির ফ্যাশন শোতে নানা ভূমিকায় অংশ নিয়ে আসছেন প্রায় দুই দশক ধরে। বর্তমানে তিনি নিজেকে দেশের এক নম্বর রানওয়ে ডিরেক্টর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
আজরা মাহমুদ বলেন, রাজধানী কুয়ালালামপুরের অভিজাত এলাকা বুকিত জলিলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মিস্টার ও মিস সেলিব্রিটি ইন্টারন্যাশনালের প্রার্থীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্যাজেন্টের মালিক লেনার্ড ট্যান এবং মালয়েশিয়ার সুপার মডেল অ্যাম্বার চিয়া। আজরা আরও জানান, এ আসরে বাংলাদেশসহ আরও তিন দেশ ভারত, শ্রীলংকা ও নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনোনীত হয়েছে আজরা মাহমুদস ট্যালেন্ট ক্যাম্প (এএমটিসি)।
এ বছর বাংলাদেশ, ভারত এবং নেপাল থেকে প্যাজেন্ট পাঠাতে পারলেও শ্রীলংকা থেকে কাউকে পাঠাতে পারেননি বলেও জানান আজরা। তবে তার দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্রী ও মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০১৯ শিরিন আক্তার শিলা এবার বিচারক হিসেবে অংশ নিচ্ছেন।
বিচারকমণ্ডলীতে আরও আছেন ২০১৮ সালের মিস মিয়ানমার হান থি, ২০১৮ সালের মিস ইউনিভার্স কম্বোডিয়া পার্ন নাট, ২০১৮ সালের মিস্টার গ্লোবার থাইলান্ড জিরাওয়াট ভাটচাসাকল, এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় মডলে অ্যাম্বার চিয়া ও ২০১৪ সালের থাইল্যান্ডের মিস মডেল অব দ্য ওয়ার্ল্ড অনন্যা বেইফার্ন।
এছাড়া প্রতিযোগীদের শিষ্টাচারসহ নানা বিষয় শেখানোর জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে পেশাদার প্রশিক্ষক। দ্য ইন্টারন্যাশনাল সেলিব্রেটি পেজেন্টস গ্রুপ বিশ্বাস করে, সৌন্দর্য কেবল বাইরেই সীমাবদ্ধ নয় বরং সেটা উৎসারিত হয় একজন মানুষের অন্তর থেকেও। তাই এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য, রোল মডেল হিসেবে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করা, অনুপ্রেরণা জোগানো এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখা।
আজরা জানান, তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান আস্তে আস্তে। সবাই বড় বড় আসরের দিকে হাত বাড়ায়। যেটা তার মতে বাস্তবসম্মত নয়। বরং সারা বিশ্বে অনেক ছোট ছোট আসর আছে। সেখানে শেখার যথেষ্ট সুযোগ আছে। এসব আসরে অংশ গ্রহণের মধ্যে দিয়ে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার পাশাপাশি বাংলাদেশে মডেলদের বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রতিযোগিতাগুলোয় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল সম্পর্কে অবগত করাই তার লক্ষ্য।