পর্তুগালে ‘অনৈতিক’ অভিবাসন প্রত্যাশীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ঃ
পর্তুগালে নিয়মিত হওয়ার আবেদন চালু করার পর অনেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করে আশ্রয় আবেদন বা লেখাপড়া করেছেন। কিন্তু বর্তমানে ইইউ সেন্ট্রাল ডাটা সিকিউরিটি সিস্টেমের মাধ্যমে আবেদনকারীর তথ্য যাচাই শুরু করার কারণে যারা অনৈতিকভাবে পর্তুগাল ছেড়ে গেছেন তাদের প্রসেস বাতিল বা বিভিন্ন বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করছে পর্তুগিজ ফরেনার্স অ্যান্ড বর্ডার সার্ভিস (এসইএফ)।
এখানে উল্লেখ্য, একজন প্রফেশনাল বা কর্মজীবী হিসেবে পর্তুগালে নিয়মিত হওয়ার আবেদন করা হলে এখানে তাকে চাকরি বা ব্যবসা চালিয়ে যেতে হবে এবং একই সঙ্গে আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি পর্তুগালের সীমানা ছেড়ে যেতে পারবেন না। যদি এর ব্যতিক্রম হয় তাহলে তার প্রসেস বাতিল হয়ে যাবে, যা আইন দ্বারা সংজ্ঞায়িত।
পর্তুগালে নিয়মিত হওয়ার আশায় এখানে প্রসেস চালু করে বেশি আয়ের জন্য ইউরোপের অন্য দেশে অবস্থান করছেন তবে বর্তমানে পর্তুগিজ ফরেনার্স অ্যান্ড বর্ডার সার্ভিস (এসইএফ) ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভিসা এবং অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য ভান্ডারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার থ্রি পিলার খ্যাত ভিসা ইনফরমেশন সিস্টেম (ভিআইএস), সেনজেন ইনফরমেশন সিস্টেম (এসআইএস), ইউরোপিয়ান ডাকটাইলসকপি (ইউরোডাক) কার্যকর করার কারণে অভিবাসীরা পর্তুগালে ফিরতে শুরু করেছেন।
তবে এদের হঠাৎ করে দলে দলে ফেরা পর্তুগালের বাসস্থান এবং কর্মক্ষেত্রে সংকটের সৃষ্টি করেছে। অর্থাৎ হাজার হাজার অধিবাসী একই সঙ্গে পর্তুগালে প্রবেশ করছেন ফলে একটি কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে, তাছাড়া পর্তুগাল ছেড়ে অন্য দেশে বসবাস করার কারণে পর্তুগিজ ভাষায় তাদের দক্ষতা না থাকার কারণে চাকরি বা যথাযথ কর্মসংস্থান পেতে অসুবিধা হচ্ছে।
বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পর্তুগিজ অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বা সেফ তাদের পর্তুগালে নিয়মিত কাজ না করা বা অন্য যে দেশে অবস্থান করছিলেন সে দেশে তার আঙ্গুলের ছাপ শনাক্ত হওয়ার কারণে তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন বা প্রসেসটি অনুসন্ধানের জন্য সময় চেয়েছেন। একই সঙ্গে আবেদনকারীকে কারণ দর্শাতে বলেছেন। কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের কারণে অনেক প্রবাসীদের পর্তুগালে নিয়মিত হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, পর্তুগাল অভিবাসীবান্ধব দেশ, প্রতি বছরই দেশটিতে অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়ছে। কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে গত ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ ৫৭ হাজারেরও বেশি অভিবাসী বসবাস করছেন। যেখানে দেশটির মোট জনসংখ্যা এক কোটির কিছু বেশি।