সাকিব দেশের সম্পদ, তাকে ‘প্রটেক্ট’ করবে বিসিবি

খেলাধুলা ডেস্ক ঃ

 

ইংল্যান্ড সিরিজ শেষ করেই দুবাই উড়াল দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। উদ্দেশ্য―একটি জুয়েলারি দোকানের উদ্বোধন। সেই দোকানের মালিক আরাভ খান আবার এক পুলিশ কর্মকর্তা হত্যার পলাতক আসামি। যে কারণে কয়েক দিন ধরে ব্যাপক বিতর্ক চলছে সাকিবকে ঘিরে। এর মাঝেই দেশে ফিরে আজ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন সাকিব। তাকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের কবলে পড়তে হতে পারে। এই মুহূর্তে সাকিবকে নিয়ে কী ভাবছে বিসিবি?

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনসের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। যদিও তিনি সিরিজের মাঝে এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে রাজি নন, ‘প্রথম কথা বলে নিই, আমি ইনফ্যাক্ট এটা নিয়ে এই সিরিজের মাঝখানে আলাপ করতে চাচ্ছিলাম না। যেহেতু আপনি প্রশ্ন তুলেছেন, আমি বলছি। পুরো ব্যাপারটা কিন্তু আমরা মিডিয়ায় দেখিছি, শুনেছি। যে ঘটনাটা ঘটেছে খুবই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে। যখন নাকি এক দিনের ব্যবধানে এটা হয়েছে। আমাদের ওই সময় হয়নি পুরো বিস্তারিত জানার বা যারা এটার মধ্যে কনসার্ন আছেন তাদের জিজ্ঞেস করার। এটা সিরিজ শেষ হোক, অবশ্যই এ ব্যাপারে আমরা জানতে চাইব।’

জালাল ইউনুস বলেন, ক্রিকেট অপারেশনস কমিটি জানত না ইংল্যান্ড সিরিজের পর সাকিব ঠিক কোথায় এবং কী কাজে যাচ্ছেন! তার ভাষায়, ‘আমরা জানি না, আমার ক্রিকেট অপারেশনস জানে না ব্যাপারটা। জেনারেলি গ্যাপের মাঝখানে একটা ছুটি ছিল। দুটো সিরিজের মাঝখানে একটা ছুটির মতো ছিল, সেটা সে অ্যাভেইল করেছে, ব্রেকটা অ্যাভেইল করেছে। ১৭ তারিখ দলের সঙ্গে জয়েন করবে এটা আমরা জানতাম। কোথায় গেছে, কী করেছে বা কার সঙ্গে কী ছিল, বাণিজ্যিক ইনভলমেন্ট ছিল কি না এটা আমরা পরে জানতে পেরেছি। দ্বিতীয় ব্যাপার হচ্ছে এমন কোনো ঘটনা ঘটলে আমরা অবশ্যই দেখব। কিন্তু সিরিজের মাঝে আলাপ করতে চাচ্ছি না।’

সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে―এমন প্রশ্নে জালাল ইউনুস বলেন, ‘অবশ্যই। আমরা মনে করি সাকিব ইজ অ্যা ভেরি সেন্সেবল বয়। তার জ্ঞান আছে এসব ব্যাপারে। কোথায় কী করতে হবে না করতে হবে খুব ভালো জানে। ব্যাপারটা কী ঘটেছে, সে জন্যই বললাম কেন ঘটেছে, কিভাবে ঘটল, কিভাবে ইনভলভমেন্ট হলো সেটা আমরা এখন পর্যন্ত জানি না। কারণ এটা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করিনি। কারণ একটু আগে বললাম, এক দিন পরই সিরিজ শুরু হয়ে গেছে। একই সঙ্গে বোর্ডের সভাপতি ও সিইও বাইরে আছেন আইসিসি মিটিংয়ে। উনারা এলে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে ঠিক করব কী করা যায়। ব্যাপারটা হচ্ছে আমাদের এখানে কমিটি আছে, ডিসিপ্লিনারি। উনারা যদি মনে করেন এখানে কোনো কিছু আরো তদন্ত দরকার। উনারা দেখবেন। আমার মনে হয় একটু অপেক্ষা করা দরকার। এখন এগুলো নিয়ে আলাপ না করাই ভালো।’

জালাল ইউনুস আরো জানান, সাকিবের পাশে আছে বিসিবি। তার ভাষায়, ‘এখানে ক্রিকেট অপারেশনস থেকে আমরা দেখব কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কী আছে তার। সেটা ভাঙা হয়েছে কি না। বাণিজ্যিক চুক্তি বোর্ডের ক্ল্যাশ করে কি না। যদি তেমন কিছু থাকে, ডিসিপ্লিনারিতে আমরা রেফার করতে পারি। এ জন্য বললাম কোনো কিছু না জেনে, সবার থেকে জিজ্ঞেস না করে, ব্যাপারটা পুরোপুরি তদন্ত না করে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’ সাকিবকে প্রটেক্ট করা হবে কি না―এমন প্রশ্নে তার জবাব, ‘অবশ্যই। কারণ সাকিব শুধু আমাদের বিসিবির সম্পদ না, দেশের সম্পদ। তার দিকে লুক আফটার করা আমাদের দায়িত্ব।’

এ বিভাগের অন্যান্য