উকিল সাত্তারকে জয়ী করতে মরিয়া আ.লীগের নেতাকর্মীরা

সিলেটের সময় ডেস্কঃ

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে জয়ী করতে মরিয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সোমবার মধ্য রাত থেকে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হলেও থেমে নেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

উপজেলা থেকে শুরু করে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চলছে নীরব প্রচারণা। ভোটের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা ছাড়াও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সরাইল উপজেলা ডাকবাংলোতে বসে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার পক্ষে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুরসহ জেলা ও উপজেলার নেতারা এ সময় সেখানে ছিলেন।

নিখোঁজ স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ, জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ ভাসানী ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েলের কর্মী-সমর্থকদের বেশি একটা দেখা মিলছে না। শুধু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাত্তারপন্থিদের মাঠে দেখা যাচ্ছে।

সরাইল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরাইল উপজেলায় ৮৪টি ও আশুগঞ্জ উপজেলায় ৪৮টিসহ মোট ১৩২ ভোট কেন্দ্রে ১ হাজার ১০০ পুলিশ সদস্য, র্যা বের ১০টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি এবং ১ হাজার ৫৮৪ জন আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ১৭ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। এর মধ্যে ১২ জন আনসার, দুইজন গ্রামপুলিশ ও ৩ জন পুলিশ সদস্য থাকবেন। ভোটের আগেও পরে তারা ৩ দিন নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়াও ৪ প্লাটুন বিজিবি ও র্যা বের ১০টি টিম আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে। সরাইল ও আশুগঞ্জ ২ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে একজন করে মোট ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ২ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও সংক্ষিপ্ত বিচারকার্য পরিচালনা করবেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপনির্বাচন উপলক্ষে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আশা করি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হবে না। কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি জানান, নির্বাচনে অফিসারসহ ১ হাজার ১শ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও  থাকবে বিজিবি, র্যা ব, পুলিশের একাধিক মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। এছাড়াও উপ-নির্বাচনে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. সাহাগীর আলম বলেন, উপনির্বাচন উপলক্ষে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য