বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেলো শামীমা
নিউজ ডেস্ক: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মুন্সীবাজার ইউনিয়নের সুরানন্দপুর গ্রামের আলমাছ মিয়া ও সিরাজুন বেগমের মেয়ে শামীমা আক্তার (১৪)। সে মুন্সীবাজার কালী প্রসাদ উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল।
বছর দুই আগে সে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) তার বিয়ের দিন ঠিক করা হয়েছিল। দুপুরে বর আসবেন, বিয়ে হয়ে কিশোরী শামিমাকে যেতে হবে শশুর বাড়ি। এ ঘটনা শুনে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দ্রুত হস্তক্ষেপ করায় অবশেষে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল শামীমা আক্তার।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের মৌলভীরচক গ্রামের আইয়ূব আলীর ছেলে জোবায়ের আলীর সাথে শামীমার বিয়ের আয়োজন হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হকের নির্দেশনায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন চৌধুরী সুরানন্দপুর গ্রামে আলমাছ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে শামীমার বিয়ের আয়োজন বাতিল করে দেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন চৌধুরী ঘটনাস্থলে গেলে দেখা যায় মেয়েটির বয়স ১৪ বছর। স্কুল রেকর্ড অনুযায়ী ২০০৫ সালে তার জন্ম। স্থানীয় ওয়ার্ড ইউপি সদস্য চাতুরীপনা করে একটি নকল জন্ম নিবন্ধর তৈরি করে শামীমার বিয়ের আয়োজনে সহায়তা করছিলেন।
নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, মুন্সীবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালিব তরফদারের সাথে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন শামীমাকে তিনি কোন জন্ম নিবন্ধন কার্ড দেননি।
এটি ভুয়া জন্ম নিবন্ধন কার্ড। কনের বাড়িতে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান শুনে বৃহস্পতিবার আর বরপক্ষ বিয়ে করতেও আসেনি। ফলে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল শামীমা।