এই গ্লানি এই সব দুঃস্বপ্ন কোথায় রাখি! কোথায় যাবো? কোথায় শান্তি? চন্দ্রশিলা ছন্দা
মানব সভ্যতার ইতিহাসকে ও হার মানায় আজ কোথায় ঘিয়ে দাড়িয়েছে আমাদের চিন্তা চেতনা হায়রে সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ তোমরা উৎসব করো, গায়ে আগুন লাগিয়ে আমার সন্তানকে পুড়িয়ে মারো।বাস ট্রাক তুলে দাও ওদের শরীরের উপর। তবু আমি চুপ করেই থাকবো। কারণ আমার দেশের নাম বাংলাদেশ। শান্তির দেশ। আমার সন্তান ধর্ষিত হলে, হত্যা করা হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শত শত টিভি ক্যামেরার সামনে চোখ মুছে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরবেন। আমি ধন্য হবো তাঁকে ছুঁতে পেরে। হাতে দুই লক্ষ টাকার চেক গুঁজে দেবেন। আমি বিগলিত হয়ে ভাববো, “আল্লাহ্র মাল আল্লা নিসে” দুই লাখ টাকা না নেয়ার মত বোকামি করবো কেন!
আমি ভাববো না, আমার সন্তানের মূল্য দুই কিংবা দশ লাখ নয়! ভাববো না তার হত্যা নথি মাত্র দুই লাখে বিক্রি করে দিলাম! বিক্রি করে দিলাম আমার বিবেক, মানবতা, অভিভাবকত্ব! ভাববো না, জান্নাতে বসে সন্তানের অন্তর বাবা-মার প্রতি ঘৃণায় রি রি করলো কী না! কারণ আমি, আমরা ভিক্ষুকের জাতি। মাথা বিক্রি করা বেহায়া নির্লজ্জ জাতি!
যে দেশটাকে কখনো আলাদা করে ভাবতে শিখিনি। নিজের অঙ্গের মত, হাত চোখ মাথার মত যে বাংলাদেশকে আমি ভালোবেসেছি…এখন বড় ভয় করে ভাবতে, এই দেশটা আমার! অথচ এই ভয়ংকর দেশটা আসলেই আমার। আমার বাপ দাদার ছিলো। আমার সন্তান সন্ততির। এটাই সত্য। এই সত্যকে অস্বীকার করে আমি আমার দায় এড়াতে পারি না। বলতে পারি না, এই হিংস্র জানোয়ারে ভরা, কাক শকুনের দেশ আমার নয়!
এই গ্লানি এই সব দুঃস্বপ্ন কোথায় রাখি! কোথায় যাবো? কোথায় শান্তি… … …