পূবালী ব্যংকে ডাকাতি: উসমান ও আশিকসহ ১৬ জনের ৭ বছরের জেল
পূবালী ব্যাংকের ২২ লাখ টাকা ডাকাতির চাঞ্চল্যকর মামলায় সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও দক্ষিণ সুরমার তেতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উসমান আলী এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ নেতা আশিক আহমদসহ ১৬ জনকে ৭ বছর করে সাজা দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে এক বছর করে সশ্রম কারাদন্ডেরও আদেশ দেয়া হয়েছে। উসমান আলী গত নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন।
সোমবার দুপুরে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মফিজুর রহমান ভূইয়া এ রায় প্রদান করেন বলে জানান এই আদালতের পিপি মফুর আলী।
সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামীরা হলেন- সিলেট সদর উপজেলার সোনাতলা গ্রামের শহীদুল ইসলাম শহীদ, নগরীর ফাজিলচিশতের জাবেদ, সওদাগরটুলার রুবেল আহমদ, বলকলাপাড়ার কামাল হোসেন, নূরানী সুবিদবাজারের বাসিন্দা ও যুবলীগ নেতা কলিন্স সিংহ, কদমতলীর আবদুল মমিন, ইঙ্গুলাল রোড কুয়ারপাড়ের রহিম আলী, দক্ষিণ সুরমার বানেশ^রপুরের শফিক মিয়া, একই গ্রামের বাসিন্দা ও চেয়ারম্যান উসমান আলীর ভাই আনহার ও আঙ্গুর, আবদুল হক লিটন, শাহান, লিটন ও সিপন আহমদ।
এদের মধ্যে জাবেদ, রহিম আলী, শফিক মিয়া, আবদুল হক লিটন ও লিটন পলাতক রয়েছেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভূক্ত অপর আসামী আনোয়ার হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সিলেটের বিভিন্ন শাখা থেকে টাকা নিয়ে নগরীর লালদিঘীরপাড় প্রধান শাখায় মাইক্রোবাসযোগে আসছিলেন পূবালী ব্যাংকের জুনিয়ার অফিসার (ক্যাশ) জি এম আতাহার হোসেন। এসময় তার সাথে ছিলেন গার্ড মোজাম্মেল আলী, আমানত উল্লাহ ও মাইক্রোবাস চালক মজনু মিয়া। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে হুমায়ূন রশীদ চত্ত্বরে আসার পর ১৫-২০ জন লোক মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে হামলা চালিয়ে গাড়িতে থাকা ৮৩ লাখ ৬৪ হাজার টাকার মধ্যে ২২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা ১৪ রাউন্ড গুলিভর্তি একটি স্ট্যান্ডগানও ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ব্যাংকের জুনিয়ার অফিসার (ক্যাশ) জি এম আতাহার হোসেন বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানী ও ২৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার আদালত মামলার ১৬ আসামীকে সাজা এবং একজনকে খালাস প্রদান করেন।