স্কুলছাত্র ইমন হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক বৃহম্পতিবার
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র শিশু ইমন হত্যা মামলার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে। বাদি পক্ষ আশা প্রকাশ করছেন আগামী মাসেই মামলার রায় ঘোষনা হবে। ইতোমধ্যে সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী তারিখে যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আদালতের পিপি।
মামলার দ্রুত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার ৩৪২ ধারামতে আসামী পরীক্ষা করেন আদালত। সিলেটের দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রেজাউল করিম আসামী পরীক্ষাকালে তাদের কোনো বক্তব্য আছে কিনা জানতে চান। আদালতে উপস্থিত ৩ আসামীর মধ্যে ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজন তার বক্তব্য আছে বলে জানান। পরে আদালত তাকে আইনজীবীর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য প্রদানের নির্দেশ দেন। এছাছাড়া অপর আসামী জাহেদ ও রফিক তাদের কোনো বক্তব্য নেই বলে জানান। আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আসামী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী তারিখ বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্ক হবে।
ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেনীর ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ইমনকে ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপনের টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে। ৮ এপ্রিল মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের কদমতলী বাসষ্ট্যান্ড থেকে শিশু ইমনের হত্যাকারী ঘাতক ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, বিষের বোতল ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করে। এমনকি বাতিরকান্দি হাওর থেকে ইমনের মাথার খুলি ও হাতের হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। একজন ছাড়া গ্রেফতার করে জড়িত ৩ জনকে। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন। বাদি জহুর আলী আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মামলার রায় ঘোষনা হওয়ার আশা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, মামলার তারিখ কম সময়ের মধ্যে পড়ছে। আদালত প্রত্যেক তারিখেই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।