বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লব শুরু হয়েছে
সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের মোজাহিদ।
সিলেট জেলা পরিষদ
মবরুর আহমদ সাজু সিলেট :
সিলেট জেলা পরিষদের তরুণ সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের মোজাহিদ । লেখাপড়ার শেষ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায় থেকে। জানাযায় বিভিন্ন জায়গায় চাকুরী করেছেন তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সহিত । বর্তমানে তিনি সিলেট জেলা পরিষদ সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। বয়সে তরুণ হলে ও একজন কাজ প্রিয় মানুষ আব্দুল কাদের মোজাহিদ। যিনি স্বপ্ন দেখেন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশের অংশীদার হতে চান তিনি ও তার চাকুরীর স্থান সিলেট জেলা পরিষদ। এমন স্বপ্ন আর সম্ভাবনা নিয়ে সিলেটের সময় সাথে কথা বলেছেন এ তরুণ সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের মাজাহিদ। যা বিস্তারিত পাঠকের জন্য তুলে ধরেছেন মবররু আহমদ সাজু ।
সিলেটের সময় : জেলা পরিষদ সম্পর্কে জানতে চাই এখানে কেমন কাজ হয়।
স: প্র: আব্দুল কাদের মোজাহিদ: জেলা পরিষদ বাংলাদেশের স্থানীয়সরকার প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে প্রাচীনতম জনসমাদৃত একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান শহর ও গ্রামাঞ্চলের জনগণের সার্বিক উন্নয়ন ও সেবায় নিয়োজিত থাকে। সিলেটের সমাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা উত্থান-পতন সত্ত্বেও জেলা পরিষদের কার্যক্রম কখন ও থেমে যায়নি। বরং নতুন নতুন ক্ষেত্র সংযোজিত হয়েছে। জেলা পরিষদ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা তার আর্থিক ক্ষমতার মধ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কার্যকরী অবদান রেখে চলেছে। জেলা পরিষদের মাধ্যমে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির-গীর্জা-প্যাগোডা প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বর্তমান সরকারের সাড়ে নয় বছরে উন্নয়নে অদম্য বাংলাদেশে বদলে গেছে দিনকাল ।
সিলেটের সময় সিলেট জেলার অবকাঠামো উন্নয়নে জেলা পরিষদের ভুমিকা কি জানতে চাই
স: প্র: আব্দুল কাদের মোজাহিদ:: বর্তমান সরকার ঘোষিত ভিশন ২০২১ এ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সহায়ক ভূমিকা রাখার নিমিত্ত সিলেট জেলা পরিষদের তহবিলের অর্থায়নে ও সরকারের এডিপি তহবিলের বরাদ্দকৃত অর্থের মাধ্যমে জেলার সকল উপজেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা, অবকাঠামো উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও নারী উন্নয়ন, শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, বৃক্ষরোপন, জাতীয় কর্মসূচি, ধর্মীয় এবং বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সিলেট জেলা পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এছাড়া সরকারের মাস্টার প্লান বাস্তবায়ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
সিলেটের সময় : সিলেট জেলা পরিষদের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা কেমন দেখেছেন
স: প্র: আব্দুল কাদের মোজাহিদ: সিলেট জেলা পরিষদ স্থানীয় সরকারের একটি অমিত সম্ভাবনার জায়গা ।কারণ এখানে দক্ষতার ঘাটতি না থাকলেও জনবল ও সম্পদের অভাব রয়েছে । এছাড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনের পর পরিষদে কিছু ইতিবাচক কাজ করার সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলা পরিষদ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের বেশ সাফল্য দেখিয়েছে। নিজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ইউনিয়ন ও উপজেলার সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্রে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।স্থানীয়ভাবে নিজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সিলেট উদাহরণ ওপ্রশংসাযোগ্য।আমরা আশা করি, জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর গণতান্ত্রিক স্থানীয় সরকার গড়ার পথে বাংলাদেশে একটি নবতর অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। মাঠ প্রশাসন, নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলো(ইউনিয়ন, উপজেলা ও পৌরসভা)এবং অরাষ্ট্রীয় উদ্যোগগুলো একটি সমন্বিত ও গতিশীল স্থানীয় উন্নয়ন ও সেবা কাঠামো সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
সিলেটের সময় অগ্রযাত্রার সাড়ে নয় বছরে বংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড কেমন দেখছেন?
স: প্র:আব্দুল কাদের মোজাহিদ: শেখ হাসিনার দর্শন বাংলাদেশের উন্নয়ন এ সরকারের দুই মেয়াদে অগ্রযাত্রার পার হয়েছে সাড়ে নয় বছর। এ সময়ে সারাদেশের ন্যায় সিলেটের হাওর ও পাহাড় আর শহর গ্রামগঞ্জে রাস্তা, ব্রিজ, প্রাচীর ও ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হয়েছে সিলেট জেলা পরিষদের মাধ্যমে। নিয়মনীতি অনুসারে এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড করায় তৃণমূল মানুষের বিরাট উপকার হয়েছে। অনেক প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে সফলভাবে শেষ করার সুনাম কুড়িয়েছেন সরকার ।
সিলেটের সময় সিলেট জেলা পরিষদ নাগরিক সেবায় অনন্য সে সম্পর্কে আপনার প্রত্যয় জানতে চাই…
স: প্র:আব্দুল কাদের মোজাহিদ: দিনবদলের সরকারের ঘোষিত ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ সফল করার লক্ষ্যে গুণগত জনসেবা ও জনবান্ধব পরিষদ গড়ে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সকল নাগরিককে ই-সেবার আওতায় আনার জন্য আমাদরে সংশ্লিষ্ঠ টিম সিলেট জেলায় নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সিলেট জেলা পরিষদের উন্নয়নের স্বার্থে সততা, স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাব। সিলেট জেলার ঐতিহ্যকে ধারণ করে বাংলাদেশের প্রথম সারির জেলায় রূপান্তরের চেষ্টা করব। সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে একটি টিম হিসেবে এ কাজ করে যাচ্ছি আমরা
সিলেটের সময় তথ্য প্রযুক্তি খাতে আমাদের সম্ভাবনা কতটুকু?
স: প্র:আব্দুল কাদের মোজাহিদ: তথ্য-প্রযুক্তির বিপ্লব শুরু হয়েছে দু থেকে তিন দশক হলো। এরই মধ্যে আমরা মোটামুটি একটা অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। দেশে বর্তমানে হাজার দুয়েক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এসব প্রতিষ্টানে প্রায় দুই লাখ শ্রমিক রয়েছে। বিশ্ব বাজারে দিনকে দিন এ খাতের গুরুত্ব বাড়ছে। বিশেষ করে আমাদের নিজেদের দেশেই রয়েছে ষোলো কোটি মানুষ। ষোলো কোটি মানুষের বাজারটাও ছোট নয়, এটা অনেক বড়। অন্যদিকে আমাদের রয়েছে শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম। এ জন্য আমাদের সম্ভাবনা শতভাগ। আর দেশীয় বাজারে প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো করতে পারলে, ক্রমান্বয়ে এগুলো দক্ষ হয়ে উঠবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে গিয়ে উন্নত দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারবে।
সিলেটের সময় : নগর উন্নয়ন পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য কী জানতে চাই?
স: প্র:আব্দুল কাদের মোজাহিদ: নগর উন্নয়নের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নগরগুলোকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা এবং মানুষের সুযোগ-সুবিধার দিকে নজর রেখে যে ভূমি ব্যবহার, সেই ভূমি ব্যবহারটাকে নিশ্চিত করা৷ এখানে বাসস্থান, পরিবহণ থেকে শুরু করে অন্যান্য যে সামাজিক সুযোগ-সুবিধা আছে, সেগুলো যাতে মানুষের চাহিদা মতো তাদের কাছে দেয়া যায়, সে কারণেই পরিকল্পনা প্রয়োজন৷
সিলেটের সময় : একটা সুন্দর নগর গড়ে তোলার জন্য আসলে কী কী থাকা দরকার?
স: প্র:আব্দুল কাদের মোজাহিদ: কয়েকটা ‘বেসিক’ জিনিস থাকতেই হবে৷ যেমন বাসস্থান৷ সেটা শুধু থাকলেই হবে না, সেটা যেন মানসম্পন্ন হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে৷ তাছাড়া পরিবহণব্যবস্থা যেন জনবান্ধব হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে৷ অনেক সময় আমরা পরিবহণের যে ব্যবস্থা করি, সেটা জনবান্ধব হয় না ৷ এছাড়া অনেক সামাজিক ব্যবস্থা আছে, যেমন খেলার মাঠ, স্কুল-কলেজ, হেলথ সেন্টার – একটি শহরে সেগুলিও থাকতে হবে৷ এগুলোর বিন্যাস যেন সুষ্ঠু হয়৷ মানুষ যেন সহজেই এই সেবাগুলো নিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে৷
সিলেটের সময় :জেলার ডিজিটালাইজেশন ও এর সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাই?
স: প্র:আব্দুল কাদের মোজাহিদ: দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে সিলেট সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সিলেট । এ লক্ষ্যে জেলায় স্থাপিত টি ইউনিয়নে ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সেবা জনগণের জন্যে উন্মুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে জনগণ অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট ফরম পূরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও ফলাফল জানা, প্রবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ, বিদ্যালয়ের নিবন্ধন, ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন আবেদন ফরম ডাউনলোডসহ নানা কাজ করতে পারছে। বেকার দরিদ্রদের আউট সোর্সিংকে ত্বরান্বিত করতে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এখানে বিনামূল্যে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ ফ্রি বেসকি কম্পিউটার, শেলাই প্রশিক্ষণ, ফ্রি ড্রাইবিং কোর্স প্রশিক্ষণ দেয়া হয় ।
সিলেটের সময় কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান
স: প্র:আব্দুল কাদের মোজাহিদ: সুন্দর একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই
সিলেটের সময় : ধন্যবাদ আপনাকে
স: প্র:আব্দুল কাদের মোজাহিদ: ধন্যবাদ আপনাকে সিলেটের সময় কে