সিলেটে নবনির্মিত কারাগার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
অবশেষে উদ্বোধন করা হল নবনির্মিত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নবনির্মিত এই কারাগারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এখানে উপস্থিত সিলেট জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। তারা সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সাত বছর পর উদ্বোধন হল নবনির্মিত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার। দুই হাজার বন্দি ধারণ ক্ষমতার কারাগারটি।
সিলেট জেলা সম্মেলন কক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন সংসদ সদস্য ইমরান আহমদ, সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ কয়েছ, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. কামরুল আহসান, জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুনেছা হক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল জলিল প্রমুখ।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আবদুল জলিল জানান, নতুন কারাগার উদ্বোধন করা হলেও পুরনোটি এখনও বহাল থাকবে। ডিসেম্বর নাগাদ নতুন কারাগারে কিছু বন্দিদের স্থানান্তর করা হবে। তবে নতুন কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের স্থানান্তর করা হবে।
২০১০ সালে সিলেটের নতুন কারাগার নির্মাণ ও স্থানান্তরের প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছিল।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র মতে, বাদাঘাট এলাকায় অভ্যন্তরে ১৬ একর ও বাইরে ১৪ একর জমি নিয়ে মোট ৩০ একর জায়গার ওপর নির্মিত নতুন কারাগার। যেখানে স্থাপনা করা হয়েছে ৫৯টি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৭ কোটি টাকা প্রক্কলন ব্যয় ধরে কারাগার নির্মাণের কাজ শুরু হলেও কাজ শেষ করতে ব্যয় দাঁড়ায় ২৭০ কোটি টাকায়। কারাগারে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, একশ শয্যার পাঁচতলা বিশিষ্ট চারটি হাসপাতাল, স্কুল ও লাইব্রেরি ভবন ছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মকর্তাদের জন্য একশ ৩০টি ফ্ল্যাট রয়েছে।