আত্মবিশ্বাস কোথায়? স্বপ্নপূরণের পথেও এগিয়ে যাওয়া
মবরুর সাজু:
প্রথমেই খুঁজে নিতে হবে কিসে সাফল্য পাবেন এবং আপনার আত্মবিশ্বাস কোথায়? অনুকরণ নয় বরং অনুসরণ করে দেখতে পারেন প্রিয় আদর্শকে। এর পাশাপাশি শিক্ষাজীবনে ভালো ফল করতে পাঠ্যপুস্তকে মনোযোগী হওয়া আবশ্যক। কিন্তু যে শিক্ষার্থী শুধুই এর মাঝে নিজেকে আবদ্ধ করে রেখেছেন, ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে সে শুধুই পিছিয়ে পড়েছেন। তা ছাড়া কোন বিষয়ে পড়তে চান; সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ক্যারিয়ারের কথা নাইবা ভাবলেন। তবু পছন্দের বিষয়টাকে গুরুত্ব দিন। আর যারা ক্যারিয়ারিস্ট, তারা ক্যারিয়ার সম্পর্কিত বিষয় পড়তে পারেন। এর পাশাপাশি নিজেকেও গড়ে তুলতে পারেন বিভিন্নভাবে।
যে কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষা শেষে কিছুটা অবসর সময় পান। এই সময়ে কম্পিউটার সম্পর্কে নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে পারেন। মনে রাখবেন, অনেকেই শুধু এই একটি বিষয়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় ইন্টারভিউ বোর্ড থেকে হয়তো অসংখ্যবার ফেরত এসেছেন। পাশাপাশি বাড়িয়ে নিতে পারেন ইংরেজি বলার দক্ষতাও। শিক্ষাজীবনে ইংরেজি হয়তো অনেকে মুখস্তই শুধু করেছেন। কিন্তু শেখেননি। কেউবা কম পারেন বলে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। সেই বন্ধুরাই চাকরি জীবনে সবচেয়ে বেশি মনে মনে বলেন, ইস? ইংরেজিটা যদি শিখে ফেলতাম!
প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি : মানুষের জীবনে প্রত্যাশা থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। এটাও স্বাভাবিক পারিপার্শ্বিক প্রত্যাশার চাপ। কিন্তু একটু ভেবে দেখা উচিত, সেই প্রত্যাশা কতটুকু বাস্তবিক। বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতি না রেখে প্রত্যাশা থাকলে প্রাপ্তি খাতায় তো অসঙ্গতি ধরা পড়বেই। বরং বন্ধুরা স্বপ্ন বা লক্ষ্য স্থির করতে নিজেকে প্রস্তুত করুন। বাধা-বিপত্তি আসবে। কখনো এটা ভাবা উচিত নয়, আমার স্বপ্ন এখনই পূরণ হতে হবে। প্রাপ্তি কতটুকু এটা না ভেবে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়াই শুভবুদ্ধির লক্ষণ। নয়তো সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই হবে না। এতে বরং হতাশাই বাড়বে।
মূলমন্ত্রে গলদ : এত্ত পড়ালেখা আর ভালো ফল সত্ত্বেও অনেকে পাচ্ছে না কাক্সিক্ষত সাফল্য। তাহলে সাফল্যের মূলমন্ত্রটা ভাই কিসে? খুব সোজা। অল্প কিছু কথাতেই সাফল্যের মূলমন্ত্র অন্তর্নিহিত রয়েছে। প্রথমেই খুঁজে নিতে হবে কিসে আপনি সাফল্য পাবেন এবং আপনার আত্মবিশ্বাস কোথায়। অনুকরণ নয় বরং অনুসরণ করে দেখতে পারেন প্রিয় আদর্শকে। হতে পারে তিনি আপনার বাবা-মা, বন্ধু, মহামানব যে কেউ। চাই স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্বের অধিকারী। অনেকে মনে করেন, সুন্দর মুখশ্রী আর দৈহিক কাঠামো সাফল্যের পথে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। এটা ভুল কথা। নির্দিষ্ট বিষয়, আত্মবিশ্বাস আর আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বই পারে একজন মানুষকে সাফল্যের পথে একধাপ এগিয়ে নিতে। অনেকেই আছে নিজের কী নেই তা নিয়েই বেশি হতাশ। নিজের কী নেই তা নিয়ে হতাশ না হয়ে কী আছে সেটা নিয়েই বরং এগিয়ে চলুন।
স্বপ্ন পূরণের পথে : পছন্দের বিষয় পড়তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস। নিজের লক্ষ্য জানা থাকলে সেটা স্থির করে সে দিকে এগিয়ে যেতে হবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে। নির্দিষ্ট বিষয় ঠিক করে, শিক্ষাজীবনে নিজেকে বদ্ধঘরে পাঠ্যপুস্তকে আটকে না রেখে নিজের জগৎটাকে আবিষ্কার করার পথে হাঁটুন। আর নিজের জগৎটাকে আবিষ্কার করতে পারলেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লক্ষ্য এবং স্বপ্নপূরণের পথেও এগিয়ে যেতে পারবেন।