সিটি নির্বাচনে কোথাও কোথাও অনিয়ম হয়েছে : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কোথাও কোথাও অনিয়ম হয়েছে। যেখানে বেশি অনিয়ম হয়েছে, আমরা সেখানে ব্যবস্থা নিয়েছি।
মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনে প্রতিবন্ধীদের ভোটার অধিকার নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এসময় তিনি সদ্য সমাপ্ত বরিশাম সিটির নির্বাচনে অনিয়মের কথা টেনে এনে বলেন, যেমন বরিশালে আমরা বেশি অ্যাকশন নিয়েছি। বেশি কেন্দ্র স্থগিত করা হয়েছে। এই জাতীয় পাবলিক নির্বাচনে এরকম অনিয়ম কিছু কিছু হয়েই থাকে।
জাতীয় নির্বাচনে এর প্রভাবের বিষয়ে সিইসি বলেন, বড় ধরনের পাবলিক নির্বাচনে অনিয়ম হবে না— এ রকম নিশ্চয়তা দেওয়ার সুযোগ আমার নেই। অনিয়ম হলে আমরা যেভাবে করি— সেইভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো। কোনও অনিয়ম হলে তদন্ত করে হোক বা যেভাবে হোক, তার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাবলিক নির্বাচনগুলোতে অনিয়ম হবে না সে নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। বড় বড় পাবলিক নির্বাচনে কিছু কিছু অনিয়ম হয়েই থাকে। আমরা সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়ে থাকি।‘
সাম্প্রতিক আন্দোলন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে এটার কোনও সম্পর্ক নেই। এটা ভিন্ন ইস্যু। এটা নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কিছুও নেই। এখানে নির্বাচন নিয়ে কোনও কথা বলতেই শুনিনি। এটা সরকার দেখবে, আর যারা আন্দোলন করছে তারা দেখবে।’
‘জাতি আপনাদের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না’ গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের এই বক্তব্যের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ড. কামাল কীভাবে দেখেন তা আমি জানি না। জাতির কী পরিসংখ্যান তার কাছে রয়েছে, সেটা আমার জানা নেই। একটা কথা বলতে হলে পরিসংখ্যান নিতে হবে। বলতে হবে তার কাছে ভোট দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে জাতি বলেছে কী না, যে আমরা জাতি আপনার ওপর আস্থা রাখি না। এ ধরনের কথা তো আমরা শুনি না।’ নির্বাচন কমিশন কোনও অস্বস্তিতে নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিক ধারা অনুসারে জাতীয় নির্বাচন হবে। নির্বাচনী পরিবেশ আছে। আমি তো কোনও অসুবিধা দেখছি না। আমরা মনে করি না সংসদ নির্বাচনে এ রকম কোনও অসুবিধা হবে। তবে,জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি আগে থেকেই রয়েছে। অক্টোবরের দিকে তফসিল ঘোষণা শুরু হবে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধ বা জানুয়ারির প্রথম দিনে নিয়ম অনুসারে যেটা হয়, তখন নির্বাচন হবে। জানুয়ারির ২৮ তারিখের মধ্যে ভোট হবে। তবে কমিশনে এখনও এটা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এটার সিদ্ধান্ত পরে হবে। নির্বাচন তো করতেই হবে। আমাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
এর আগে প্রতিবন্ধী ভোটাররা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়ার সময় কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে সে বিষয়ে এক কর্মশালার উদ্বোধন করেন নূরুল হুদা।
এ আয়োজনে যৌথভাবে অংশ নিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএফইএস। প্রতিবন্ধীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গেলে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হন, যারা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তাদের জন্য আলাদা ব্যালট পেপার ছাপানো যায় কি না? এসব বিষয়ে ২০-২৫ জন প্রতিবন্ধীকে নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।