সিলেট সিটি নির্বাচন ব্যাপক জনসমর্থনে এগিয়ে কামরান

আধুনিক ও সুন্দর নগরীর প্রত্যাশা

মবরুর আহমদ সাজু :

সিলেট সিটি নির্বাচনের দিন তারিখ সবই টিক আছে শুধু দলীয় প্রতীকের অপেক্ষা তবুও থেমে নেই গণসংযোগ,প্রচারণা,আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধন । সেই সেতু বন্ধন থেকে ব্যাপক জনসমর্থনে ব্যাপক এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। মানুষের জীবনমান উন্নয়নের প্রয়াসে কখনো একাহেটে কখনোবা দলবেধে সেই পৌরসভা থেকে আজ অবধি পর্যস্ত চলছে তার সংগ্রাম রোদ বৃষ্ঠি উপেক্ষা করে চলেন তিনি। জনসেবার কান্ডারী হিসেবে রয়েছে তার দারুন মনোভাব সবমিলিয়ে সিসিকের সফল এক জননেতার নাম বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। গর্তেপড়া সিলেট কে প্রথমইে আলোরমুখ দেখাতে সক্ষম হন তিনি এমনটাই সচেতন  নগরবাসী বলছেন, আর ভোটাররা বলছেন দেড়যুগ আগে যে সিলেট কে কামরান আলোর মুখ দেখিয়েছিলেন তাকে কি করে ই বা ভূলবে? আর তার আমলে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে বলে জানা গেছে যদি ও সে সময় তার দল ক্ষমতায় ছিলনা তবুও উন্নয়ন করতে তিনি কৃপণতাবোধ করেননি বলে জানায়ায়। আর এমনটিই আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বলছেন নগরবাসী বিধায় তাকে নিয়ে আবারো স্বপ্ন দেখছেন সিলেটের সর্বস্তারের লোকজন। এদিকে সবার জন্য তার বাড়ির দরজা খোলা থাকে। সবাই সুখে-দুঃখে কাছে পায় বলেই বার বার নগরবাসী তার কাছে ছুঠে যায় সেজন্য সবাই মনে রাখছে এবার ও বিপুল ভোটে নির্বাচিত করতে ব্যতিক্রম হবে না বলে জানিয়েছেন নবীন প্রবীণ ভোটররা। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাতাশটি ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজার ২০০। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭১ হাজার ২৫১ জন এবং মহিলা ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৯ জন। ২০১৩ সালের পর এ কয় বছরে ভোটার বেড়েছে ৩০ হাজার ১৫৪ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার বেড়েছে ১৪ হাজার ৭০ জন এবং মহিলা ১৬ হাজার ৮৪ জন। ওই বছর মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ৯১ হাজার ৪৬। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮১ এবং মহিলা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৫ জন ভোটার ভাড়ার সাথে সাথে স্বপ্ন ও প্রত্যাশা বাড়ছে আসন্ন সিসিক নির্বাচন কে সামনে রেখে সিলেট নগরীর ওয়ার্ডে ওয়াডে সচেতন ভোটাররা জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রিুতির বাস্তবায়ন নিয়ে নানামুখি কর্মকান্ড ‘ভালো-মন্দ’ বিচার-বিশ্লেষণ শুরু করে দিয়েছেন ভোটাররা। আলোচনার বিষয় একটাই জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় জনগণকে কি কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আর কতটুকু প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন তা হিসাব নিকাশ করছেন নগরবাসী। নগরীরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে কসমেটিক উন্নয়নের নামে বিভিন্ন ¯’ানে প্রত্যাশিত উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার জনগণ। অভিযোগ তোলেছেন গেল টার্মে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বির“দ্ধে। তবে ২৭ ওয়ার্ডে বাসিন্দারা এসব কারনে বলছেন এবার ভোট প্রয়োগে ভোটারগণও থাকবেন সচেতন। এলাকার সঠিক উন্নয়নের স্বার্থে আন্তরিক মানুষকে এবার নগরপিতা বানাবেন এদিকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তফশিল ঘোষণায় সিসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট নগরীতে বিশ্বকাপ ফুটবলের সাথে চলছে চায়ের কাপে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ।সিসিকের ইতিহাস বলে সিলেট পৌরসভার সর্বকনিষ্ঠ কমিশনার হিসেবে জনপ্রতিনিধির খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। এরপর নির্বাচিত হন পৌর চেয়ারম্যান। ২০০২ সালে সিলেট পৌরসভা উন্নীত হয় সিটি করপোরেশনে। সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনেও নগরবাসী আস্থা রাখেন একজনের প্রতি তার নাম বদর উদ্দিন আহমদ কামারন। তাছাড়া সিলেট সিটির প্রথম নগরপিতা হিসেবে অভিষিক্ত হন কামরান। সিলেট নগরীর ২৭ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বলছেন সিলেটে যেসময় আলোর বাতি জলতো না সেময় বদর উদ্দিন আহমদ কামরান আলোর বাতি জালিয়েছেন সুতারাং পিছিয়ে যাওয়া সিলেট কে কামরানই প্রথম উন্নয়নের আলোর মুখ দেখান বলে ছোটবড় লোকজনের মুখে মুখে শুভা পাচ্ছে । সময়ের পরিক্রমায় ২০০৮ সালে সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচনেও ভোট বিপ্লব ঘটিয়ে কারারুদ্ধ কামরান পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন। জনপ্রতিনিধিত্বের দীর্ঘ পথচলায় তিনি হয়ে ওঠেন গণমানুষের নেতা। বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তৃণমূল থেকে উঠে আসা কামরানের সামনে ছিল হ্যাটট্রিক মেয়র হওয়ার হাতছানি। কিন্তু সেবার ঘটে ছন্দপতন। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে হার মানতে হয় তাকে। ভোটের হিসাবে পরাজিত হলেও মানুষের হৃদয়জয়ী কামরান এখনো নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন সিলেটবাসীর মাঝে। নগরভবন ঠিকানা না হলেও সিলেট মহানগরীর মানুষ এখনো তাকে ‘মেয়র সাব’ বলেই সম্বোধন করে। সুখে-দুঃখে, আপদে-বিপদে ছুটে যায় তার কাছে। কামরানও নিরাশ করেন না বিপদে পড়া তার প্রিয় নগরবাসীকে। নির্বাচনে পরাজয়কে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান একটি অভিজ্ঞতা হিসেবেই নিয়েছেন। তার মতে, উত্থান-পতন না থাকলে জীবনকে উপলব্ধি করা যায় না। নির্বাচনে পরাজিত না হলে তার হয়তো জানাই হতো না ক্ষমতাহীন কামরানকে নগরবাসী কতটুকু ভালোবাসে। আসন্ন নির্ববাচন নিয়ে কামরান সিলেটের সময় কে বলেন সবার জন্য তার বাড়ির দরজা খোলা থাকে। সবাই সুখে-দুঃখে কাছে পায় বলেই বার বার এলাকাবাসী তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করে আসছে। এবারও ব্যতিক্রম হবে না। এমন দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন নগরীতে সিলেটের কৃতিসন্তান কামরান। অত্যন্ত আন্তরিকতার সহিত বছরের পর বছর ধরে কীভাবে জনগণকে ধরে রেখেছেন সেই প্রশ্নেরও সহজ-সরল উত্তর দেন তিনি। কামরান বলেন, জনগণের জন্য আমার বাসার দরজা সব সময় খোলা রাখার কারণেই আমি বার বার নির্বাচিত হয়েছি। এই এলাকার মানুষের সাথে আমার অন্তরের সখ্যতা আছে বলেই জনগণ আমার কাছে আসে এবং ভালোবেসে ভোট দিয়ে থাকে। তাদের সাথে কথা বলার সময় কোনোকিছু লুকানো থাকে না। তাদের চাহিদা যা থাকে পুরোপুরি দিতে না পারলেও নিরাশ করি না কখনো। নিরাশ করি না বলেই তারা আমার কাছে মনের কথা খুলে বলতে পারে এবং যা চায় কিছু না কিছু পায়। তবে এই নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে পারলে সিলেট নগরকে একটি পূণার্ঙ্গ মডেল নগর গঠনে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবে বলেও আশা রাখেন তিনি। তিনি জানান, একবার কমিশনার ও দুবার মেয়রের দায়িত্বে ছিলাম। আমি কমিশনার ও মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষ যারা ছিল অর্থাৎ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে কাজ করেছি। কাজের ভালোবাসার ফসলই হলো আজকে আমি ৩বার জনপ্রতিনিধি হয়েছিলাম। জনগণ আপনাকে আবার কেন নির্বাচিত করবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতীতে আমি সকলের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছি এবং আমি আমার নৈতিকতার স্খলন না ঘটিয়ে সবার মাঝে থাকতে পেরেছি তাই জনগণ আবার আমাকেই চাইবে বলে আমার বিশ্বাস। মাঠে এখন কেমন সাড়া পাচ্ছেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতই নির্বাচন সামনে আসছে ভোটারদের মাঝে ততবেশি আন্তরিকতার প্রচারণা তুঙ্গে দেখতে পাচ্ছি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো নির্বাচনী প্রচারণার জন্য আমার আলাদা কোনো কর্মী বাহিনী নেই। ভোটাররাই কামরান বলেন, নগরবাবাসী কর্মসংস্থান চায় কিন্তু বাস্তবতা হলো কর্মসংস্থানের অভাব যেটা বিগত দিনেও দিতে পারিনি। কারণ আমাদের সিটিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোনোকিছু গড়ে উঠেনি। তার পরও আমার সদিচ্ছা রয়েছে নগরে নারী পুরুষেদের জন্য কিছু একটা করার। তবে সবার জন্য কর্মমুখী প্রতিষ্ঠান করার স্বপ্ন রয়েছে। নগরীতে বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য পরিকল্পনা করে কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা রয়েছে যদি নির্বাচিত হতে পারি সেটি করব ইনশাআল্লাহ । তবে এই নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে আসতে পারলে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়ে আমাদেও ওয়ার্ডগুলোকে পরিকল্পনা মাফিক সুন্দর করে গড়ে তুলতে চাই। যেই পরিকল্পনায় সিলেট সিটিতে আধুনিক ও সুন্দর নগরী হবে । শুধু তাই নয় এই এলাকায় কোনো ধরনের মাদক যাতে বিস্তার না ঘটে সেই দিকে থাকবে কঠিন পদক্ষেপ। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা , প্রতিবন্ধী ভাতা বাড়াতে চান বলে জানান

 

এ বিভাগের অন্যান্য