রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে নিহত ১১
রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার তিন স্থানে পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিনজনসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। এতে মাটি চাপা পড়েছেন বেশ কয়েকজন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান।
মঙ্গলবার (১২ জুন) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন এনডিসি তাপস শীল।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বড়পুল পাড়ায় সুরেন্দ্র চাকমা (৫৫), রাজদেবী চাকমা (৫০), সোনালী চাকমা (১৪), রমেল চাকমা (১৪) এবং ধর্মচরণ পাড়ায় ফুলদেবী চাকমা (৫৫), ইতি দেওয়ান (১৯), স্মৃতি চাকমা (২৩), অমর দেওয়ান (দেড় মাস) নিহত হয়েছেন। বাকি ৩ জনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায় নি।
এনডিসি তাপস শীল জানান, নানিয়ারচর উপজেলার শিকলপাড়া, বড়পুল এবং হাতিমারা গ্রামে পৃথক সময়ে পাহাড় ধসে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। পাহাড় ধসের কারণে বন্ধ রয়েছে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক যোগাযোগ। রাঙামাটির কুতুকছড়ি এলাকায় রাস্তা ভেঙে গেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
এদিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাহাড় ধসে উপজেলার ইসলামপুরে ৪৫টি, বগাছড়িতে ৪২টি এবং বুড়িঘাটে একটি বসত ঘর মাটি চাপা পড়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দিদারুল আলম বলেন, এ পর্যন্ত ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে। বর্তমানে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। উদ্ধার কাজে অংশ নিতে আমাদেরও দু’টি টিম ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেছেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের স্বজনদের ২০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনের লোকজন দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এখনও যারা আছেন তাদের পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। প্রচুর ত্রাণ মজুদ আছে এবং প্রতিটি উপজেলায় ত্রাণ রয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও পাঠানো হবে। আমরা পরিস্থিতির সার্বিক খোঁজ রাখছি।’
এদিকে রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র অবজারভার কেচিমং মারমা জানিয়েছেন, সোমবার (১১ জুন) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (১২ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত জেলায় ২৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।