আলোকিত ওয়ার্ড গড়ার প্রত্যয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী হচ্ছেন গোলাম রহমান চৌধুরী রাজন

 

 মবরুর আহমদ সাজু;

পরিবর্তনের প্রত্যাশায় জনগণের ভালোবাসা ও আন্তরিকতায় আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে জনসেবা করতে চাই। জনসেবাকে আমি জীবনের অবিচ্ছেদ অংশ বলে মনে করি উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম রহমান চৌধুরী রাজন । এই যখন প্রেক্ষাপট, তখন ভোটাররা চাইছেন তাদের নাগরিক সেবা নিশ্চিতে জনবান্ধব ও অপেক্ষাকৃত ক্লিন ইমেজের প্রার্থীদেরই কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত করতেই সোচ্চার । আসন্ন সিলেট সিটি নির্বাচনে নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটাররাও বিগত নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের হিসাব-নিকাশ ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন। এলাকাবাসী জানান, এবার ভোট প্রয়োগে ভোটারগণ থাকবেন সচেতন। ওয়ার্ডের সঠিক উন্নয়নের স্বার্থে সঠিক প্রার্থীকে ভোট দেবেন তাঁরা। উন্নয়নের প্রভাব পড়বে সিটি কাউন্সিলর নির্বাচনে । বিগত দিনগুলোতে ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে প্রত্যাশিত উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার জনগণ। অভিযোগ তোলেছেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। তবে জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়নের অবহেলা হয়েছে বলে মানতে নারাজ।।নগরীর সোনারপাড়া, ছাপরবন্দপাড়া, খন্ডিকরপাড়া-১,খন্ডিকরপাড়া-২,লামাপাড়া,ঠাকুরপাড়া,হাতিমবাগ গঙ্গাদাস,বোরহানবাগ, টিকরিপাড়া, নিস্করপাড়া, ভাটাটিকর (আংশিক), শাপলাবাগ, তৈয়াটিকর, কালাশীল ও রাজপাড়া নিয়ে গঠিত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এই ওয়ার্ডে বসবাস করেন।জেলা নির্বাচন কমিশনারের সূত্রমতে  ২১ নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১১ হাজার ৯১৬ জন। ওয়ার্ডে ভোট বেড়েছে ১১৬৬টি ।নির্বাচন কমিশন দিন তারিখ ঘোষণায় সিসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে চলছে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়ে চলছে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ। কে হচ্ছেন আগামি সিলেট সিটির মেয়রের পাশাপাশি  কাউন্সিলর ? নগরীর ২৭ টি ওয়ার্ডের পাশাপশি উক্ত ওয়াডের্র এখন নির্বাচনী হাওয়ায় দুলছে মহল্লাবাসী এবং হাওয়ায় গাঁ ভাসিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। ঈদ উৎসবকে ঘিরে নিজের ছবিসহ রঙিন পোস্টার, ব্যানার আর তোরণ লাগিয়ে নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় জানান দিচ্ছেন তারা। ভোটাররাও বেশ ভলোভাবেই উপভোগ করছেন সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের এহেন নির্বাচনমুখি তৎপরতা। অনেকে কাউন্সিলররা উন্নয়নসহ নানামুখি কর্মকান্ড ‘ভালো-মন্দ’ বিচার-বিশ্লেষণ করছেন । ভোটাররা মুখ্যবিষয় একটাই কাউন্সিলররা গত নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় জনগণকে কি কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আর কতটুকু প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন তা ভোট দিয়ে প্রমাণ করবেন ওয়ার্ডবাসী। কাউন্সিলরও বর্ণনা দিতে শুরু করেছেন নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের। আগামী নির্বাচনের জন্যও দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি । তবে যে কোন সময়ের তুলনায় ভোটাররা এবার সচেতন থাকবেন। প্রার্থীর ব্যক্তিগত ইমেজ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক যোগাযোগসহ নানা দিক বিবেচনা করছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখাযায় পুরো ওয়ার্ডে জুড়ে ৯টি মসজিদ এবং ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হযরত চান্দুশাহ (রহ.) ও কানাইশাহ (রহ.)’র মাজার রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সোনারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সৈয়দ হাতিম আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ, জামেয়া হাতিমিয়া শিবগঞ্জ মাদ্রাসা, চান্দুশাহ দাখিল মাদ্রাসা, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা, হিলসিটি একাডেমী, স্কলার্স হোম, শাইন স্কুল, সিলেট সদর উপজেলার টুলটিকর ইউনিয়নের আওতায় ছিল বর্তমান ২১ নং ওয়াডের্র ্র বিভিন্ন এলাকা। ১৯৯৫ সালে এসব এলাকাকে সিলেট পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের আওতায় নিয়ে আসা হয়। এরপর ২০০২ সালে সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার পর তা ২১ নং ওয়ার্ডের আওতায় আনা হয়। ২০০৩ সালের ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম সিটি নির্বাচনে সাজ্জাদুর রহমান সুজ্জাদ ১৪৬৩ ভোট পেয়ে কমিশনার নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ নাজিম উদ্দিন লস্কর ১০২৭ ভোট পান। ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সিটি নির্বাচনেও ৩৩৫১ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন সাজ্জাদুর রহমান সুজ্জাদ। ঐ নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফয়সল আহমদ ১০৮৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। অর্থাৎ ১৯৯৫ থেকে অদ্যাবধি জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সাজ্জাদুর রহমান সুজ্জাদ। তিনি তৎকালীন একবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রেরও দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ নির্বাচনে ২০১৩ সালে আব্দুর রকিব তুহিন বিপুল ভোটে জনপ্রতিনিধি  হন এদিকে ২০১৮ জুলাইয়ে সিসিক নির্বাচনে ওয়ার্ডে সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন বর্তমান কাউন্সিলর আব্দুর রকিব তুহিন সেচ্ছাসেবক দলের নেতা , শাহেদ আহমদ, মহানগর বিএনপি নেতা, এছাড়া হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রকিব তুহিন রয়েছেন বেশ আলোচনায় পাশাপাশি আওয়ামিলীগের সমর্থিত  জনপ্রিয় নেতা রাজন ও রয়েছেন জনসমমর্থনে এগিয়ে।  এই ওয়ার্ডে বিএনপির নেতাকর্মীরা বর্তমানে মাঠে না থাকলেও সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগ ও সতন্ত্র সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন বেশ জোরেশোরেই। আসন্ন সিলেট সিটি নির্বাচনে ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম রহমান চৌধুরী রাজন সিলেটের সময়ের সাথে একান্ত সাক্ষাত কারে বলেন ২১নম্বর ওয়ার্ডকে আলোকিত ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় রয়েছে তার,পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশার সাথী হয়ে তাদের সেবা করার বাসনা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন সিলেট সিটির ২১নম্বর চরম অবহেলিত ওয়ার্ডের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকের অভিশাপ মুক্ত করে ডিজিটাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। রাজন বলেন, আল্লাহর অশেষ কৃপায় নির্বাচনে এলাকাবাসী আমাকে কাউন্সিলর নির্বাচিত করলে এলাকার উন্নয়নের জন্য সময়ের সেরা ওয়ার্ড হিসেবে রুপান্তরিত করবো। দীর্ঘদিন পর সিসিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের আওয়াজ ওঠায় মেয়র প্রার্থদের পাশাপাশি ওয়ার্ড পর্যায়েও জোরেশোরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের কাউন্সিলর প্রার্থীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকেই। এলাকার সমস্যা চিহ্নিত করে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে বিভিন্ন বিষয় অর্ন্তভক্ত করছেন প্রার্থীরা। রাজন বলেন রাস্তা-ঘাট সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, মাদক ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, যানজট নিরসন, পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড, বেকার যুবকদের কারিগরি প্রশিক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণসহ যাবতীয় নাগরিক সেবা নিশ্চিতের তিনি অগ্রণি ভুমিকা পালন করবেন । রাজন বলেন, ওয়ার্ডে কাজের মানুষ না থাকায় ওয়ার্ডের সমস্যা ব্যাপক। আমি সামাজিকভাবে সেসব সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করার চেষ্টা করব। এলাকার লোকজন ও সামাজিক আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এবার তাকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। রাজন বলেন দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে কাউন্সিলর হয়ে তাদের সেবায় কাজ করতে

এ বিভাগের অন্যান্য