কীভাবে কোটায় নিয়োগ, ব্যাখ্যা দিল সরকার
নপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোজাম্মেল হক খানের স্বাক্ষরে বৃহস্পতিবার এক আদেশে এর আগে জারিকৃত কোটায় নিয়োগ সংক্রান্ত আদেশের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত ৭ মার্চ এক আদেশে মন্ত্রণালয় জানায়, সরাসরি নিয়োগে কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকায় থাকা প্রার্থীদের মধ্য থেকে সেসব পদ পূরণ করা হবে।
ওই আদেশে বলা হয়েছিল, “সকল সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার কোনো পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে সেসব পদ মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে পূরণ করতে হবে।”
এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ কোটার অধীন কোনো জেলার বিতরণকৃত পদের সংখ্যা থেকে যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কম হলে ওই বিশেষ কোটার অপূর্ণ পদগুলো জাতীয়ভিত্তিক স্ব স্ব বিশেষ কোটার (মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর) জন্য প্রণীত জাতীয় মেধা তালিকা থেকে পূরণ করতে হবে।
এভাবে বিশেষ কোটা পূরণের পর সংশ্লিষ্ট নিয়োগের জন্য মহিলা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটার কোনো কৃতকার্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে ওই পদগুলো অবশিষ্ট কোটা অর্থাৎ জেলার সাধারণ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করতে হবে।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগে এর পরেও বিশেষ কোটার পদ পূরণ না হলে অপূরণকৃত পদ জাতীয় মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারীদের দিয়ে পূরণ করতে হবে।
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ কোটার (মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, এতিম ও শারিরিক প্রতিবন্ধী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্য) কোনো পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে অপূর্ণ পদগুলো জেলার প্রাপ্যতা অনুযায়ী স্ব স্ব জেলার সাধারণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করতে হবে বলে ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে।
বর্তমানে দেশে পাঁচ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য। প্রতিবন্ধী এক শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ এবং নারী ও জেলা কোটা রয়েছে ১০ শতাংশ করে। সব মিলিয়ে কোটার জন্য বরাদ্দ ৫৬ শতাংশ পদ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও গবেষণা সেলের ২০১৬ সালের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে শূন্য পদের সংখ্যা তিন লাখ ৫৯ হাজার ২৬১টি।