জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন

মা-গো আর কেঁদো না আর কেঁদো না, তোমার বীর শহীদ সন্তানের জন্য…।’-এই গানের কলিটির মতো ৩০ লাখ বীর শহীদের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আজ আমরা কেউ কাঁদবো না-গর্বভরে পালন করব সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা।
আজ ২৬ মার্চ সেই মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির সংগ্রামময় জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন হচ্ছে এই দিনটি। পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত যাওয়ার পর দীর্ঘ ১৯০ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করে পাক-ভারত উপমহাদেশের জনগণ পেয়েছিল পাকিস্তান ও ভারত নামক দুটি দেশ। পাকিস্তানিরা যখন বাঙালিদের নতুন করে শোষণ ও পরাধীনতার শৃঙ্খলে বাঙালিদের বেঁধে রাখার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল, ঠিক তখনই শতাব্দীর মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার অভ্যুদয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তির মহামন্ত্রে উজ্জীবিত করে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে গেছেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যে। এবারের স্বাধীনতা দিবস পালন হবে উন্নয়নের অনন্য এক মাইল ফলকের মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া। যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য এক বিরল গৌরব ও সম্মানের বিষয়। দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া পৃথক বাণী দিয়েছেন বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যগড়ার শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে জাতি আজ ৪৮তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করবে। এ বছর আমাদের মহান স্বাধীনতার ৪৭ বছর পূর্তি হওয়ায় দিবসটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। স্বাধীনতাবিরোধী ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে অনেকের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। বিশেষ করে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের দাবিতে দেশের তরুণ প্রজন্ম যেভাবে সোচ্চার হয়েছে তা দেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

এ বিভাগের অন্যান্য