ওসমানীনগরে মামার সাথে ভাগ্নির প্রেম তারপর
ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি :: সিলেটের ওসমানীনগরে প্রতিবেশী এক মামার সাথে অসমপ্রেম করায় পরিবার মেনে নিতে না পারায় বসত ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে নাহিদা(১৬) নামের এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার তাজপুর ইউপির পশ্চিম রুকনপুর গ্রামের অইছ উল্লার বাড়ির বসত ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত নাহিদার লাশ ও একটি মোবইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত নাহিদা মৌলভীবাজার সদর উপজেলার হামরকোনা গ্রামের বিল্লাল মিয়ার মেয়ে। সে তার নানার বাড়ি রুকনপুরে থেকে পড়া লেখা করত।
পুলিশ ও নাহিদার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রোকনপুর গ্রামের অইছ উল্যার মেয়ে রিনা বেগমের বড় মেয়ে নাহিদা বেগম রোকনপুর গ্রামের তার নানা বাড়িতে থেকে সৎপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়া লেখা করত। নানার বাড়ি বসবাসের সুবাদে একই গ্রামের পাশের ঘরের প্রতিবেশী মিয়াদন মিয়ার ছেলে নাহিদার সম্পর্কে মামা মুহিবুর রহমানের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। বিষয়টি নাহিদার নানা বাড়ির লোকজন জানতে পেরে তাদের প্রেমে বাদ সাধেন। এদিকে মৃত নাহিদার নানার পাশের ঘরের আরেক প্রতিবেশী কছির মিয়ার ছেলে মকবুল হোসেন ওরপে সুহেল মিয়া মুহিবুরের সাথে নাহিদার প্রেম মেনে নিতে পারেনি এ কারণে মুহিবুরের সাথে দীর্ঘ দিন থেকে মকবুলের শত্রুতা চলছিল। মৃত নাহিদার সাথে মুহিবুর প্রায়ই তার নানার বসত ঘরে সকলের অগোচরে দেখা স্বাক্ষাত করে আসছে দীর্ঘ দিন থেকে। গত শুক্রবার রাতও নাহিদা গলায় ফাঁস দিয়ে মারা যাবার পূর্বে মোবাইল ফোনে মুহিবুরের সাথে কথা বলে দুজনে দেখা করার কথা বলে। ফোনের কতোপোকতনের সময় মুহিবুর বার বার নাহিদাকে বলতে শোনা যায় ঘরের দরজা খুলে রাখতে ও তার প্রতিদ্বন্ধী মকবুল হোসেন ওরপে সুহেল জেগে আছে কিনা তা খেয়াল রাখতে।
এদিকে শনিবার ভোরে নাহিদা ঘুম থেকে না জাগায় নাহিদার স্বজনরা তার শয়ন কক্ষে দরজায় ডাকাডাকির পর কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় দরজা ভেঙ্গে দেখা যায় নাহিদার মৃতদেহ সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। বিষয়টি ওসমানীনগর থানা পুলিশকে খবর দিলে শনিবার দুপুরে পুলিশ নাহিদার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
মৃত নাহিদার পিতা বিল্লাল মিয়া কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, কি কারণে আমার মেয়ে মারা গেছে তা আমি জানিনা। নাহিদা ছোট বেলা থেকেই তার নানা বাড়ি থেকে লেখা পড়া করছিল।
এব্যাপারে নাহিদার নানার পরিবারের কেউ গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে অপারগতা জানান।