ঘর বাড়িতে আগুন ও মাদ্রাসা ছাত্র খুনের জেরে উত্তপ্ত জৈন্তাপুর
ওয়াজ মাহফিলে দারুল হাদিস হরিপুর মাদ্রাসার ছাত্র মৌলভী মুজম্মিল আলী নিহত এবং এর জেরে ৪ গ্রামের শতাধিক ঘর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জৈন্তাপুরের সার্বিক পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত । গতকাল মঙ্গলবার বাদ মাগরিব গোয়াইনঘাটের বড়গোছা গ্রামে নিহত মাদ্রাসা ছাত্রের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, গত সোমবার দিবাগত রাতে মাদরাসা ছাত্র হত্যাকান্ড পরবর্তী ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটেছে। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে-লক্ষ্মীপুর মৌজার কাঠালবাড়ি, ঝিংগাবাড়ি ও আমবাড়ি গ্রামের শতাধিক ঘরবাড়ি। সোমবার দিবাগত রাত তিনটা পর্যন্ত সেখানে ব্যাপক তান্ডব চলে। এলাকাবাসী-এজন্য কওমী মাদরাসা ছাত্রদের দায়ী করেছেন। তবে, কওমী মাদরাসার ছাত্রদের পক্ষে দাবি করা হচ্ছে-নিহত মাদরাসা ছাত্র মুজম্মিল ও আহত শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সালামসহ আহতদের উদ্ধার করতে তারা সেখানে গিয়েছিলেন। ঘর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) শহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৮টি পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
জৈন্তাপুর থানার ওসি খান মো: মঈনুল জাকির জানান, সোমবার আমবাড়ি গ্রামে ওয়াজ মাহফিলে সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলেই নিহত হন হরিপুর মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস (টাইটেল) ক্লাসের ছাত্র মৌলভী মুজম্মিল আলী। তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়নের বড়গোছা গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের পুত্র। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়। বাদ আছর দারুল হাদিস হরিপুর মাদরাসা ময়দানে মুজম্মিল আলীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ওসি জানান, মুসল্লীর মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন গুজব থাকলেও আসলে একজনই নিহত হন। বাকী আহতরা সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপরদিকে, এনাম নামের এক শিশু নিহত হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সে গুরুতর অসুস্থ।
এদিকে, কওমী মাদ্রাসা অধ্যুষিত জৈন্তাপুর উপজেলার আমবাড়ী এলাকায় ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংস ঘটনার সূত্রপাত নিয়ে উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন। আমবাড়ি মাহফিল আয়োজক কমিটির সভাপতি আবুল খায়ের দাবি করেন, গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে প্রতি বছর তারা ওয়াজ মাহফিল আয়োজন করে থাকেন। এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার আমবাড়ি এলাকায় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। রাত ৯টায় এই মাহফিলে পার্শ্ববর্তী খাড়–বিল এলাকার বাসিন্দা এবং হরিপুর মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সালামের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন লোক অংশ নেয়। কিছুক্ষণ পর মাহফিলে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে জানান তিনি। এ ঘটনার জেরে সেখানকার শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়িয়ে কোটি টাকার মালামাল ধ্বংসের অভিযোগ করেন তিনি।
অন্যদিকে, জৈন্তাপুরে সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে সিলেট নগরীর দরগাহ মাদরাসায় সংবাদ সম্মেলন করা হয় হরিপুর মাদরাসা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আমবাড়ী গ্রামে ওয়াজ মাহফিলের প্রধান আয়োজক আবুল বাশার মোল্লার মাধ্যমে দাওয়াত পেয়ে মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সালাম বয়ান করার জন্য রাত সাড়ে ৮টায় মঞ্চে উপস্থিত হন। ঐ সময় মাওলানা গাজী সোলায়মান হোসেন কোরআন বিরোধী বক্তব্য প্রদান করলে মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সালাম তা সংশোধন করতে বলেন। এ নিয়ে গাজী সোলায়মান হোসেনের অনুসারীরা রড, লাঠি, বাঁশসহ ধারালো অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে মাওলানা আব্দুস সালামের উপর আঘাত করেন। এ সময় উপস্থিত কয়েকজন ছাত্রসহ কিছু লোক মাওলানা আব্দুস সালামকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আঘাতে মৌলভী মুজম্মিল আলী ঘটনাস্থলে মারা যান। আহত অবস্থায় মাওলানা আব্দুস সালামকে পার্শ্ববর্তী মাওলানা নাসির উদ্দিনের বাড়িতে নিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তার ঘর-দরজা ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ করে বাড়ি পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। এ ঘটনায় হরিপুর মাদ্রাসার ১৩ জন ছাত্র-শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়।
স্থানীয় সাধারণ লোকজনের অভিযোগ মাদ্রাসা ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনার জের ধরে সোমবার গভীর রাতে জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ৪টি গ্রামের ঘুমন্ত মানুষের ঘর বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হামলাকারীরা আমবাড়ি, কাঠালবাড়ি ও ঝিঙ্গাবাড়ি এলাকায় শতাধিক ঘরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। অনেক নারী ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের শিশুকে নিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। অন্তত ১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী তান্ডব চালানো হয়। বসতভিটা সহ সবকিছু হারিয়ে অনেক মানুষ এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন।
সরেজমিনে আমবাড়ি এলাকায় গিয়ে গতকাল দুপুরে পুরুষ মানুষের তেমন দেখা মেলেনি। মহিলাসহ সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঘর বাড়িতে হামলার নানা তথ্য।
আমবাড়ি গ্রামের জরিনা বেগম জানান, গ্রামে ওয়াজ মাহফিলকে ঘিরে শিশুদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল। রাতে ৯/১০টার দিকে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে হঠাৎ হুই হুল্লোড় শুনে ঘুম থেকে উঠে বিবাহ উপযুক্তা মেয়ে নিয়ে কোন রকমে বাড়ি ছেড়ে পালান। এরপর এক চালা ঘরের পুরোটাই মাটিতে মিশিয়ে দেয় হামলাকারীরা। একই গ্রামের তাজুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় অসহায় নারীদের নির্যাতন, ঘরের মালামাল লুটপাটসহ ব্যাপক ধ্বংস চালানো হয়েছে। মানুষ মানুষের উপর এমন নির্যাতন করতে পারে, তা কল্পনা করা যায় না।
আব্দুল আলী জানান, তার গোয়ালঘর থেকে বেরিয়ে ৫টি গরু কোথায় গেছে-তার খোঁজ এখনো জানেন না। ধানের গোলাসহ তার পুরো বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
জৈন্তাপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা এখলাছুর রহমান জানান, ঘটনার সময় তার ঘর-বাড়িও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, রাত ৯টার দিকে এলাকার সড়কের পাশেরই একটি বাড়িতে তিনি সালিশ বৈঠকে ছিলেন। হঠাৎ ৩০/ ৪০ জনের একদল মাদরাসা ছাত্রকে মিছিল নিয়ে ওয়াজ মাহফিলের দিকে যেতে দেখেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জৈন্তাপুর থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করলে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে আসে। তবে এর আগে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে একজন মারা যাওয়ার খবর তিনি পান বলে জানান চেয়ারম্যান।
অগ্নিকান্ডে চেয়ারম্যানের ৩টি বসতঘর একেবারে পুড়ে গেছে। বসতঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র, দুইটি মোটর সাইকেল ও একটি ট্রাক্টর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। চেয়ারম্যানের ঘরের কোন মালামাল রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। কোনমতে পরিবারের লোকজন প্রাণে রক্ষা পান। রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত এই হামলা চালানো হয়।
এদিকে, জৈন্তাপুরে সহিংস ঘটনার জের ধরে পুরো উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সোমবার রাতেই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শান্তি শৃংখলা রক্ষায় বিজিবি সদস্যদেরও টহল দিতে দেখা যায়। বিপুল সংখ্যক র্যাব ও নিয়োজিত রয়েছে সেই এলাকায়।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: রাহাত আনোয়ার, পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (কানাইঘাট সার্কেল) আমিনুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌরীন করিম, জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুন্তাসির হাসান পলাশ, ইউপি চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমান, মঞ্জুরে এলাহী সম্্রাট ও বাহারুল আলম বাহার সহ প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় পরিদর্শনকারী দল হামলায় নি:স্ব পরিবারগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৪৮টি পরিবারের মধ্যে নগদ ৩ হাজার টাকা করে এবং ২০ কেজি চাল, রান্নার জিনিসপত্র দেয়ার ব্যবস্থা করেন।
এ সময় পরিদর্শনকারী টিমকে এলাকাবাসী জানান, ৪ গ্রামের ৭০-৮০টি পরিবারের কয়েক শতাধিক নারী-শিশু ও পুরুষ সবকিছু হারিয়ে এখন অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। অগ্নিকান্ডে ৭০/৮০ ঘরবাড়ি,অন্তত ১৫ মোটর সাইকেল, দুইটি গাড়ি, গরু, ছাগল, নগদ টাকা সহ ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র আগুনে ধ্বংস হয়ে যায়। অগ্নিকান্ডে অন্তত ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়রা দাবী করেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭দিনের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন দেবে বলে জানান তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার আহবান জানান তিনি। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোতে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।
এদিকে, মাদরাসা ছাত্র নিহত হওয়ার প্রতিবাদে দিনভর উত্তাল ছিল জৈন্তাপুরের হরিপুর এলাকা। হরিপুর বাজারে দুপুর থেকে সমাবেশ চলছিলো। এতে বক্তব্য রাখেন-বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক। নিহত হরিপুর মাদরাসার ছাত্রের লাশ যখন মাদরাসায় পৌঁছে-তখন এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতরাণা হয়। এ সময় মৌলভী মুজম্মিল আলীর খুনিদের গ্রেফতার করা না হলে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। মঙ্গলবার বাদ আছর হরিপুর মাদ্রাসা মাঠে নিহতের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক, আলেম সমাজ সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বাদ মাগরিব তাকে গোয়াইনঘাটে গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
বিকেলে হরিপুর মাদরাসায় বৈঠক শেষে মাওলানা আবুল হোসেন চতুলী চেয়ারম্যান ও এডভোকেট মোহাম্মদ আলী জানান, তারা মাদরাসা ছাত্র হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। ঘর বাড়ি পুড়ানো সাথে মাদরাসা ছাত্রদের কোন সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন তারা। একই সাথে মাদরাসা ছাত্ররা আহত মাওলানা আব্দুস সালামকে উদ্ধার করতে আমবাড়ি এলাকায় গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তারা। তারা মুজম্মিল আলীর খুনিদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীন এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার আহবান জানান। তিনি বলেন, জৈন্তাপুরের মানুষ শান্তিপ্রিয়। এলাকার শান্তি-শৃংখলা বিঘিœত হোক-তারা সেটা চান না। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ ও এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার আহবান জানান।
জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) খান মো: মঈনুল জাকির জানিয়েছেন, ঘটনায় বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান তিনি।
জৈন্তাপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ আজ ॥ মাদ্রাসা ছাত্র মৌলভী মুজম্মিল আলীকে হত্যা এবং হরিপুর মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস আব্দুস সালামসহ ছাত্রদের আহত করার প্রতিবাদে আজ বুধবার ২টায় তৌহিদী জনতার উদ্যোগে জৈন্তাপুর বাজারে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবাদ সভা সফল করার জন্য সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আল্লামা আলীম উদ্দিন শায়খে দুর্লভপুরী, আল্লামা ইউসুফ শামপুরী, মাওলানা হিলাল আহমদ ও মাওলানা নজরুল ইসলাম তোয়াকুলী।