মানবতার প্রতিক কামরান
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দেখা গেলো ঝটলা। একটু সামনে যেতেই দেখা গেলো ১১/১২ বছর বয়সের একটি শিশুর সাথে কথা বলছেন সিলেটের প্রথম নগরপিতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। শিপু (ছন্মনাম) পরিবারের বড় ছেলে। অন্য ভাইবোনের খরছ চালাতে যে বয়সে রিক্সা চালাচ্ছে শিপু। বয়স আনুমানিক ১১/১২ বছর হবে।
সাবেক মেয়রকে শিপু জানালো তার পরিবারে উপার্যনের আর কেই নেই তাই সে রিক্সা চালাচ্ছে। নগরবাসীর প্রিয় মেয়র শিপুর গেরেজের মালিকের সাথে যোগাযোগ করলেন এবং বললেন তাকে যেন রিক্সার পরিবর্তে অন্যকোন কাজ খুঁজে দেন।
কামরান গ্যারেজ মালিকের সাথে কথা বলার পর পরম মমতায় বুকে আগলে নিলেন শিশু শিপুকে। নিজের কাছ থেকে কিছু টাকা দিয়ে বললেন অন্যকাজ পাওয়ার আগ পর্যন্ত এই টাকায় সংসার চালাতে। আর যদি কাজ না পাওয়া যায় তবে তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে।
এতক্ষনে ঝটলা আরো বেড়ে গেছে। মেয়রের এই মানবিকতা দেখে উপস্থিত অনেককেই চোখের পানি মুছতে দেখা যায়। আবার অনেকেই মন্তব্য করেন ‘আমাদের মেয়র এরকমই হওয়া উচিত’। জনতার নেতা ছাড়া কেই জনগনের দুঃখ বুঝবেনা। কেউ আবার মন্তব্য করে বলেন, কামরান হলেন ‘মানবতার প্রতিক”।
বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত মেয়র। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। কামরান সিলেট নগরবাসী প্রিয় নাম। তিনি জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছে ‘মেয়র সাব’ হিসেবই পরিচিত।
অবশ্য ইতোমধ্যে নামটির খ্যাতি পাড়া-মহল্লা, নগর ও দেশ মাড়িয়ে এখন বিদেশেও সমধিক উচ্চারিত। কোন বৈজ্ঞানিক আবিস্কারে নামটি যুক্ত না থাকলেও স্বীয় প্রজ্ঞা আর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার মাধমে গণমানুষের হৃদাসন জয় করেই আজ নামটির খ্যাতি দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে প্রবাসের মাঠিতেও সমানভাবে সমাদৃত।