সিলেট-সুলতানপুর সড়ক এখন মরণফাঁদ
দক্ষিণ সুরমা ও বালাগঞ্জ উপজেলার সিলেট-সুলতানপুর সড়ক যাতায়াতের এই দুই উপজেলার একমাত্র রাস্তা। কিন্তু বেহাল দশা ও চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে এই সড়কটি।
সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। দীর্ঘদিন থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে এ সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ।
সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ ২৯ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়ে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে।
রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় দেখলে মনে হয় ছোট ডোবার মতো। ফলে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে এই দুই উপজেলার লোকজনের উপজেলা হাসপাতাল ও উপজেলা পরিষদের এবং ইউনিয়ন পরিষদের সাথে যোগাযোগের জন্য এই একটি মাত্র রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। এত জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়ার পরও তা সংস্কারে কর্তৃপক্ষের নেই কোন উদ্যোগ।
স্থানীয়রা জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে বালাগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা, রাজনগর ও ওসমানীনগর উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, পেশাজীবীসহ হাজার হাজার যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াত করেন। সড়কের নাজুক অবস্থার কারণে বর্তমানে দ্বিগুণ ভাড়া ও সময় অপচয় হয়। ভাঙ্গা সড়কে দুর্ঘটনায় আশংকায় দীর্ঘদিন ধরে বড় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিশেষ করে এই সড়কের সিলাম মাঝপাড়া জামে মসজিদের সামন, বিবির মোকাম থেকে আনন্দবাজার (আখড়াবাজার), চারকাটি রাস্তারমূখ, সিলাম ইউনিয়ন পরিষদের সামন, কলাবাগান বাজার, বটেরতল, জালালপুর ইউনিয়নের ডাকির মহল জামে মসজিদের সামন, আজমতপুর, পিড়িলা-কোনা, দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের নশিওরপুর, নর্থইস্ট বালাগঞ্জ কলেজের সামন, খাঁপুর রাস্তামুখ, মোরার বাজার, চাম্পার কাঁন্দি, জামালপুর, আজিজপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় যানবাহন চলাচল প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
প্রতিদিন রাস্তা দিয়ে মিনি ট্রাক ও পিকআপ এবং সিএনজি অটোরিকশা চলাচলের কারনে ইট সলিং ভেঙ্গে যাওয়ায় ধূলোবালির সৃষ্টি হয়েছে। এতে রাস্তার আশপাশের বসবাসরত মানুষগুলো ধূলোর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ।
বালাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবদাল মিয়া জানান, বালাগঞ্জ-সুলতানপুর সড়কের বড়বাগার ব্রীজ টেন্ডার হয়ে গেছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বালাগঞ্জ-সুলতানপুর সড়কের সংস্কারের জন্য আমরা আবেদন করেছি চলতি মাসে টেন্ডার হয়ে যাবে আশা করছি।