এমসি কলেজে গণধর্ষণ: রবিউলের দাপটে সন্ত্রস্ত এলাকার মানুষ
সিলেট এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি রবিউল ইসলামের দাপটে ভীতসন্ত্রস্ত থাকত সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের মানুষ। তার বাড়ি ওই ইউনিয়নের বড়নগদি গ্রামে।
রবিউলকে হন্যে হয়ে খুঁজছে র্যারবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শনিবার ভোরে দিরাই পৌর শহরের নতুন বাগবাড়ির যুবলীগ নেতা আক্কাস মিয়ার বাসায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অভিযুক্ত রবিউল স্বজন আক্কাস মিয়ার ছত্রছায়ায় থাকতে পারে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যা ব-৯ এর এএসপি আবদুল্লা অভিযান চালান বলে জানা গেছে। এর আগে র্যা ব ও পুলিশ তার গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালায়।
উপজেলা যুবলীগ নেতা আক্কাস মিয়া বলেন, এএসপি আবদুল্লার নেতৃত্বে র্যাবব সদস্যরা আমার বাসায় এসেছিলেন, তারা রবিউলের বিষয়ে খোঁজ নিতে চান। তবে আমি বলেছি রবিউলের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিউলের দাপটে ভীতসন্ত্রস্ত থাকত বড়নগদি গ্রামের লোকজন। গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে করোনাকালীন সময়েও রবিউল প্রকাশ্যে গ্রামে অস্ত্রের মহড়া দেয়। তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না অনেকে।
রবিউল ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও তার পিতা দেলোয়ার হোসেন স্থানীয় বিএনপিতে প্রথমসারির নেতৃত্ব দেন। তিনি নিজ ইউনিয়ন জগদল ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
জগদল ইউনিয়নে ১৫ আগস্টের শোকসভায় রবিউলের প্রভাবটা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শোকসভায় প্রভাব খাটিয়ে মূলধারার আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানিয়ে বিতর্কিতদের নিয়ে সভা করেন রবিউল। এছাড়াও রবিউলের বিরুদ্ধে কলেজ হোস্টেল ভাংচুরসহ চুরি ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে।
এলাকার একধিক সূত্রে জানা গেছে, রবিউল এলাকার ভেতরেই কোথাও আত্মগোপন করে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, তাকে ধরতে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে।