কলকাতায় মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা চিকিৎসক মায়ের!
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় প্রেমিকের সঙ্গে মিলে নিজের সাত বছরের মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক নারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বামী।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই চিকিৎসক। তা দাবি, পুজার জন্য ধূপ জ্বালাতে গিয়ে অসাবধানতায় নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল তার শিশুটি। ঘটনার সময় তিনি হাসপাতালে কাজ করছিলেন।
পুলিশ সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালের স্ত্রীরোগ চিকিৎসক ওই নারীর সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা চলছে তার স্বামীর।
গত শনিবার ওই শিশুটি অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শিশুটির শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
পুলিশ এখনও ওই শিশুর জবানবন্দি নেয়নি। শিশুটি যে গৃহকর্মীর কাছে থাকত, তাকে ও তাদের আবাসনের দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
শিশুটির বাবাও পেশায় চিকিৎসক। তার দাবি, ২০১৩ সালে মেয়ে হয়। তার পরে এক দিন এক যুবকের সঙ্গে আমার স্ত্রীর সম্পর্কের কথা জানতে পারি। তা নিয়ে ঝামেলা চরমে ওঠে। এসব প্রকাশ্যে আসতেই আমাকে বাড়িছাড়া করে আমার শ্বশুর। মেয়েটিকে তারা নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত নারীর দাবি, ঘটনার সময়ে আমি যে হাসপাতালে ছিলাম, সেখানকার হাজিরা খাতাই তার প্রমাণ। এই সংক্রান্ত সমস্ত প্রমাণ আমার কাছে আছে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত নারী চিকিৎসক ওই সময়ে সত্যিই হাসপাতালে ছিলেন কি না, দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে অন্য কেউ ঢুকেছিলেন কি না, তা জানতে আবাসনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চাওয়া হয়েছে।