নুরদের বিরুদ্ধে ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় যা বলা হয়েছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। মামলা নম্বর-২৮।
চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি ধর্ষণ এবং এতে সহযোগিতার অভিযোগে এনে রোববার লালবাগ থানায় তাদের নামে এ মামলা করা হয়।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান আল মামুনকে।
ধর্ষণে সহযোগী হিসাবে ভিপি নুরকে করা হয়েছে ৩ নম্বর আসামি।
সোমবার যুগান্তরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন।
মামলার বিষয়ে ওসি বলেন, অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির এক ছাত্রী বাদী হয়ে লালবাগ থানায় মামলা করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে একই বিভাগের শিক্ষাথর্ী হাসান আল মামুন ধর্ষণ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ওসি আরও জানান, মামলার প্রধান আসামি হাসান আল মামুন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক। তার সঙ্গে আরও পাঁচজনকে সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে নুরুল হক নুর রয়েছেন। মামলায় ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে লালবাগের নবাবগঞ্জ এলাকা।
আসামিদের তালিকায় সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরের সঙ্গে একই সংগঠনে যুক্ত নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হুদা ও আবদুল্লাহ হিল বাকির নাম রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাসান আল মামুন বলেন, মামলার বিষয়ে কিছুই জানি না। এমন কিছুই হয়নি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে কথা বলব।
তবে মামলার খবর গণমাধ্যমে আসার পর পরই ফেসবুক লাইভে আসেন ডাকসু ভিপি নুর।
মামলার বিষয়ে তেমন কিছু জানেন না এবং বাদী সেই নারীকেও তিনি চেনেন না বলে দাবি করেন ভিপি নুর।
মামলাটি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন তিনি।
লাইভ ভিডিওতে ভিপি নুর বলেন, লালবাগ থানায় না কোথায় মামলা হয়েছে সেটি আমি জানি না। এমনকি কোন মেয়ে মামলাটি করেছে তাকেও চিনি না। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা তো নতুন কিছু নয়। এসব মামলা-হামলা ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ। আমার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা হয়েছে। চুরির মামলা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলাও হয়েছে।