স্বামীর হাতে গৃহবধূ-বাড়িওয়ালা হত্যার ঘটনায় মামলা
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী-বাড়িওয়ালাসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
সোমবার সকালে নিহত বাড়িওয়ালার ছেলে শাহীন আলম বাদী হয়ে শিবপুর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার ভাড়াটিয়া বাদল মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
শিবপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাড়িওয়ালার ছেলে শাহীন আলম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতার বাদল মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে পাঠানো যায়নি। চিকিৎসা শেষে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়া শিবপুরের কুমড়াদি গ্রামে তাজুল মিয়ার বাড়িতে বাসা ভাড়ায় বসবাস করতেন।
পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্ত্রী নাজমা বেগমের সঙ্গে মনোমালিন্য চলে আসছিল তার। এর জের ধরে প্রায়ই স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত।
এ নিয়ে রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নাজমার ঘর থেকে হইচইয়ের শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। শব্দ পেয়ে বাড়িওয়ালা তাজুল ইসলাম, তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও নাজমা বেগমের ছেলে নাদিমসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন।
এ সময় তারা বাদল মিয়াকে নিভৃত করার চেষ্টা করলে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িওয়ালাসহ উপস্থিত লোকজনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে পাঁচজন আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে আনার পর নাজমা ও মনোয়ারা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
অবস্থার অবনতি হলে তাজুল ইসলামকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। পরে ঢাকায় নেয়ার পথে তিনিও মারা যান। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ঘটনার পর পরই ঘাতক স্বামী বাদল মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।