উধাও হওয়া বেলারুশের বিরোধী নেতা ইউক্রেন সীমান্তে আটক
বেলারুশের সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থেকে সোমবার হঠাৎ করে উধাও হয়ে যান বিরোধী নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা। কয়েকজন মুখোশধারী তাকে ভ্যানে করে তুলে নিয়ে গেছে। নিখোঁজ এই নেতাকে মঙ্গলবার ভোরের দিকে ইউক্রেন সীমান্তে আটক করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়েছিল, বেলারুশের রাজধানী শহর মিনস্কে তখন প্রবল বিক্ষোভ চলছে। প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে। সেখানেই ছিলেন বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোলেসনিকোভা। হঠাৎ একটি গাড়িতে করে মুখোশ পরা কিছু লোক এসে তাকে তুলে নিয়ে চলে যায়।
রাশিয়ার সংবাদসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, বেলারুশের পুলিশ বলেছে, তারা বিরোধী নেতাকে গ্রেফতার করেনি।
যখন মারিয়াকে অপহরণ করা হয় তখন বেলারুশের নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করছিল। মোট ৬৩৩ জনকে তারা গ্রেফতার করেছে।
সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টার সময় তাকে আটকের খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন বেলারুশিয়ান সীমান্ত বাহিনীর এক কর্মকর্তা। তবে তার দুজন সহযোগী সীমান্ত অতিক্রম করে ইউক্রেনে পাড়ি জমাতে সফল হয়েছেন।
সোমবার বিক্ষোভের সময় কোলেসনিকোভার সঙ্গে আরও দুজন আন্দোলনকর্মী নিখোঁজ হন। পরের দিন ভোর চারটার দিকে তারা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেন। কোলেসনিকোভাকে আটকের খবর নিশ্চিত করেছেন বেলারুশিয়ার সীমান্ত বাহিনীর প্রতিনিধি আন্তন বিচকোভস্কি, ‘কোলেসনিকোভাকে আটক করা হয়েছে। তিনি কোথায় আছেন সঠিকভাবে বলতে পারছি না। তবে তিনি আটক হয়েছেন নিশ্চিত।’
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যশ বেল্টা বলেছে, দুজন সহযোগীকে নিয়ে ইউক্রেনে যেতে চেয়েছিলেন কোলেসনিকোভা। সীমান্তরক্ষীদের মুখোমুখি হওয়ার পর তার গাড়ি দ্রুত ছুটতে থাকে। কোলেসনিকোভা পড়ে গেলেও গাড়ি ইউক্রেনের দিকে চলে যায়। তখন আটক করা হয় তাকে।
গত ৯ আগস্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে টানা ষষ্ঠ মেয়াদে আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো জয় পেলে তার বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে বিক্ষোভ শুরু করে বেলারুশিয়ানরা। তাকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গঠন করা হয় কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল, যার তিন নারী নেত্রীর মধ্যে অন্যতম কোলেসনিকোভা।